• আজ সকাল ৬:৪৯, শনিবার, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

অধিকার আদায়ে রাস্তায় থাকা ছাড়া কোন বিকল্প নেই: জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ১৮, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ১৮, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

দেশের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি, জুলুম, নির্যাতন বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ শ্রমিক, মজুর মুটে যেই হোক অধিকার আদায়ে রাস্তায় থাকা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আপনাদের আন্দোলন বহাল রাখতে হবে। সরকারের দুর্নীতির কারণে আজকে শ্রমিকের প্লেটে খাবার নাই। কৃষকের খাবার জোটে না। অবহেলিতরা ঘুরে দাঁড়ালে দেশের মানচিত্র ছোট হয়ে যাবে।’

শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আয়োজিত গার্মেন্টস শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দুই বছর পর আপনি বেরিয়েছেন। আপনাকে আহ্বান করছি, অনুগ্রহ করে যেকোনো একটা শ্রমিকের বাড়িতে যান। তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখেন, কতটুকু খাবার আছে। আজকে শ্রমিকের যদি অন্য (খাবার) না জোটে, কল-কারখানা টিকে থাকবে না, দেশ টিকে থাকবে না। আজকে যদি কৃষক তার উৎপাদন না করে, তবে এইদেশ মানচিত্রে সীমিত হয়ে যাবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আপনার দূঃশাসন, অপশাসনে আপনাকে লুকিয়ে রাখায় কি হয়েছে, ৮ হাজার কোটিপতির সংখা বেড়েছে। অপরদিকে দরিদ্র মানুষের হাহাকার হু হু করে বাড়ছে। আবার দেশে কুইক রেন্টাল রিনিউ করতে যাচ্ছেন। সর্বনাশ করবেন না। এই কুইক রেন্টালের যে টাকা তাদের পকেটে দেবেন, তার এক-পঞ্চমাংশ টাকা যদি কৃষক-শ্রমিককে দেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বাজার দর কমবে। জনগণ কল কারখানায় হাসিমুখে কাজ করবে। শ্রমিক না বাঁচলে কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না, আপনিও বাঁচবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন, ধাপ্পাবাজিতে পড়বেন না। এক কোটি কার্ড দিবেন কার মাধ্যমে? আপনার ছাত্রলীগের পান্ডা, আওয়ামী লীগে দুর্নীতি পরায়ন আওয়ামী লীগার। এ করে কি জনগণের খাদ্য জুঠবে? আপনার যেটা ন্যায় নীতির কথা, আপনি দুই কোটি পরিবারকে প্রতি সপ্তাহে ১০ সের চাল, ১০ সের আটা, এক সের ডাল, আধা সেট চিনি, আধা লিটার তেল দেন, এটা নুন্যতম দাবি।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, শেষ কথাটা বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আপনার এই ১৫ বছরের সবচেয়ে বড় সফলতাটা কি? সবচেয়ে বড় সফলতা বিস্তৃত বঙ্গবন্ধুকে পুনঃস্থাপন করেছেন। তবে বাড়াবাড়ি ভালো না। সবকিছুকেই বঙ্গবন্ধুর কাধে দিয়ে দেয়া, এটা সব থেকে ভুল কাজ হবে। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সবাই মিলে। তাজউদ্দীন, ওসমানী, ভাসানী, বাম শক্তিরা প্রত্যেকটা লোক আজকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে।

শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের আন্দোলন বহাল রাখতে হবে। আমার শরীর যতই খারাপ থাকুক, আপনাদের সাথে আছি। আমরা সম্মিলিত ভাবে দুঃশাসন থেকে জনগণকে মুক্ত করব। আজকে আহবান করছি, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসেন। গরীব-দুঃখির দুঃখ কষ্ট অনুভব করেন।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ