অনিকের জানাজায় যেতে বিএনপি নেতাদের বাধা দেয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, নভেম্বর ৬, ২০২২ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, নভেম্বর ৬, ২০২২ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিহত কাঞ্চন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সভাপতি অমিত হাসান অনিকের জানাযার নামাজে যেন বিএনপি নেতাকর্মীরা যেতে না পারে সেজন্য তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। বিএনপি নেতাদের দাবি, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় মারা যায় সে।
গতকাল শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বাদ এশা রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান বাচ্চুর ইমামতিতে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজের আগেই সেখানে যেন বিএনপির নেতাকর্মীরা যেতে না পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামীলীগের নেতারা। পরে এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের সেখানে নির্বিঘ্নে যাত্রা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর নেতৃত্বে হাজারো বিএনপি ছাত্রদল যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা সেখানে প্রবেশ করেন। দিপু ভুঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নেতাদের এমন শক্ত অবস্থানে পিছু হটে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় হাজারো নেতাকর্মীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, রূপগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টা চলছে। আমাদের ছাত্রদল নেতার রক্ত ঝরিয়ে তার জানাজায় পর্যন্ত যেতে আমাদের বাধা দিতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এমনটা খবর পাই আমরা। পরে আমাদের হাজারো নেতাকর্মীর শক্ত অবস্থানে পিছু হটে তারা।
একই অভিযোগ করেন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল মামুন। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রদলের অনিককে হত্যা করা হয়েছে। তাকে যখন মিছিলে অংশ নেয়ায় মারধর করা হচ্ছিল তখন বাঁচতে সে দৌড় দিলে একটি গাড়ির সাথেও ধাক্কা খায়। হামলার কারনেই সে মারা যায়। সে তো পদধারী নেতা তাকে কিভাবে আওয়ামীলীগ নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে, এটা ভাবতেই আমাদের লজ্জা হয়। তার জানাজায় অংশ নিতেও মোড়ে মোড়ে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ভুঁইয়া জানান, আমরা তো গোলাকান্দাইলে ছিলাম আর হামলা আমরা করিনি তারাই নিজেরা হয়তো পুলিশের ভয়ে দৌড় দিতে হিয়ে আহত হয়েছে। আমরা গাউছিয়া এলাকায় নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলাম। তারা এদিকে আসলে আমরা হইচই করলে তারা দ্রুত দিপু ভুঁইয়ার মার্কেটে লুকিয়ে যায়। জানাজায় বাধা দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা।