আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং – Freelancing in Bangladesh
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪ ৫:৩৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৪ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ এখন তরুণ। তরুণরা দেশের অর্থনীতির গতি পরিবর্তন করতে পারে।
বর্তমানে ১৮-৩৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩২%। ২০১৫-২০১৬ সালের মধ্যে এটি ৪০% হবে।
যখন তরুণদের সংখ্যা বেশি থাকে, তা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা ডেমোগ্রাফিক বোনাস বলা হয়।
এই অবস্থায় দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
এ অবস্থাকে উইন্ডোজ অব অপরচুনিটি (Windows of Opportunity) বলা হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নের নতুন দুয়ার খুলতে পারে।
যদি তরুণদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায়, তা হলে বিপদের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশের শিক্ষিত কর্মক্ষম জনগণকে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিংয়ে গড়ে তোলা হতে পারে একটি ফলপ্রসু সমাধান।
আউটসোর্সিং হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের কাজ বাইরের কারও সাহায্যে করানো। এটি হতে পারে প্রকল্পের অংশ বা পুরো প্রকল্প।
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক কাজ, যেখানে ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়
ভারত, ইউক্রেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চীন, ফিলিপিন্স, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, রোমানিয়া, মিশরসহ আরও অনেক দেশ আউটসোর্সিং সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং ইতিহাস খুব পুরোনো নয়, তবে গত কয়েক বছরে এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয় ১৯৯৮ সালে “GURU” মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। এর পর Elance, Odesk, Freelancer, Fiverr ইত্যাদি সাইটগুলি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রক্রিয়া
কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কাজ আউটসোর্স করতে চাইলে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিড (Bid) দেন। সেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের সময় এবং পারিশ্রমিক উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে একাধিক বিড থেকে সবচেয়ে উপযুক্ত বিড নির্বাচন করা হয়। কাজ শেষে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পেমেন্ট করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য পূর্বশর্ত
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ইংরেজিতে ভালো দখল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি।
বাংলাদেশে আউটসোর্সিং
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনটি সাইট হল Odesk, Freelancer, এবং Elance। বর্তমানে বাংলাদেশ Odesk-এ ৩য় স্থানে রয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা Odesk-এ মোট ৭ লাখ ২০ হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন, যা Odesk-এর মোট কাজের প্রায় ১২%।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অবদান
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের বড় অংশ প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো অর্থ থেকে আসে। ২০১২ সালে প্রবাসীরা ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিল, যা প্রতিবছর ১০% হারে বাড়ছে। ২০১৫ সালে আউটসোর্সিংয়ের ১০% শেয়ার পেলে বাংলাদেশ ৪৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে। নারীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় সুযোগ, যার মাধ্যমে তারা বছরে ৫০০ কোটি ডলার আয় করতে পারে।
ফাইভার হলো ফ্রিলেন্সারদের জন্য গঠিত একটি অনলাইন মার্কেট প্লেস। ২০১০ সালে ইসরাইলের একটি কোম্পানি এটি প্রতিষ্ঠা করে, যা বিশ্বব্যাপী সেবা প্রদান করে এবং ২০১২ সালের তথ্য মতে তাদের ৩০ লক্ষ সেবা নথিবদ্ধ হয়।
ইমেল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত: 2024 সালে দেখার জন্য উদীয়মান প্রবণতা এবং প্রযুক্তি