আওয়ামীলীগ কি জামায়াতকে তাদের সাথে নেওয়ার অফার দিতে পারে?
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০২২ ২:৩০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০২২ ২:৩০ অপরাহ্ণ
হাঠৎ করেই দেশের সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে জামায়াত ইসলামী। বিএনপির সঙ্গে জোট ছাড়ার বিষয়ে দলটির আমীর ডা. শফিকুল ইসলামের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদও এ বিষয় নিয়ে ভেবেছে। সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে তার নিজের ফেজবুক টাইমলাইনে দিয়েছেন বিশাল এক স্ট্যাটাস।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে রাশেদ খাঁন যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘যুদ্ধাপরাধীর তকমা ব্যতীত জামায়াত বাংলাদেশের একটা বড় রাজনৈতিক সাংগঠনিক শক্তি। এটা কেউ অস্বীকার করেনা। গতকাল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানের বক্তব্যের মাধ্যমে সেটি আওয়ামীলীগও স্বীকার করলো। তিনি বলেছেন, বিএনপির বড় উইকেটের পতন। তার মানে আওয়ামী লীগ বেজায় খুশি হয়েছে।
এই শক্তিকে অতীতে ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে কারা কারা ব্যবহার করেছে, তা সকলেরই জানা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো বলে থাকে, এটি আদর্শিক সমঝোতা নয়, বরং রাজনৈতিক কৌশল ছিলো। রাজনৈতিক কৌশল তাহলে কি এমন যে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যাকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বলা হচ্ছে, তার সাথেও হাত মেলাতে হবে?
৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জামায়াত প্রকাশ্যে আন্দোলন করেছে। সেসময় কোন দল বলেনি, জামায়াতকে ক্ষমা চেয়ে রাস্তায় নামতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিপদে পড়েছিলো, বিপদ থেকে উদ্ধার হতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে কাজে লাগিয়েছে!
এরপর ৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে আওয়ামীলীগ, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একসাথে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। এসময় আওয়ামী লীগ মুখে কখনোই উচ্চারণ করেনি, জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
বরং সে সময় আওয়ামী লীগের যুক্তি ছিলো, ঘরে আগুন লাগলে যেই নেভাতে আসুক, পানি নিয়ে এগিয়ে আসুক, আপনার শত্রুকে আপনি বাধা দিবেন? এভাবেই জামায়াতের রাজনৈতিক সাংগঠনিক শক্তি ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে নেয় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ তে ক্ষমতায় এসে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার করেনি। কেন? একসাথে আন্দোলন করার প্রতিদান দিয়েছিলো?
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, স্বাধীনতা বিরোধীর তকমা পাওয়া জামায়াতকে রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য অনেকেই ব্যবহার করেছে। এখন বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য আপনি যাকে স্বাধীনতা বিরোধী তকমা দিচ্ছেন, আবার ক্ষমতায় যেতে তাকে ব্যবহার করছেন, তাহলে আপনি কি হিপোক্রেট নন?
আপনি স্লোগান দিবেন, একটা একটা শিবির ধ/র, ধইরা ধইরা জ/বাই কর! আবার জাতি বিপদে পড়লে বলবেন, জাতিকে উদ্ধারে যেই পানি নিয়ে আসুক, তাকে আগুন নেভাতে দেন! এই হলো সুশীলদের অবস্থা!’
এই স্ট্যাটাসে নেটিজেনরা রিয়্যাক্ট ও কমেন্ট করেছেন শত শত। শেয়ার করতেও ভুল করেননি কেউ কেউ।