আ’লীগ সব সময় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে : কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ৩:১৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ৩:১৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
‘সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনৈতিক দল, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এই দলের সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ঘিরেই পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংগ্রাম। আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, বিএনপির মতো বন্দুকের নলের মুখে কিংবা পিছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কখনো ক্ষমতা দখল করেনি এবং করবেও না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। অপরদিকে বিএনপির সৃষ্টি এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে। তাদের নেতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতাসহ জাতীয় চারনেতার খুনিদের সুরক্ষা প্রদান করে। এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও জাতির পিতার খুনিদের স্বার্থসংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের চক্রান্তে আবর্তিত হয়েছে বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি শাসনামলে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়নের ভয়াবহ নজির স্থাপন হয়েছিল। উগ্ন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে বিএনপিই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে তখনই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বার বার হুমকির মুখে ফেলেছে। তারা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং দেশপ্রেমের বহ্নিশিখায় ঐক্যবদ্ধ প্রজন্ম গঠনে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আপসহীন নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা বদ্ধপরিকর। আমরা স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকদের হাতে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে তুলে দিতে পারি না। এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রাকে কাঙ্ক্ষিত অভিষ্টে পৌছাতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উন্নত আধুনিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে, ইনশাল্লাহ্।