আলোচনা সভায় বক্তারা : শাসকদল সংবিধানকে কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু ভাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৪, ২০২২ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৪, ২০২২ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
‘সংবিধান প্রণয়নের সময় একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখার চিন্তা মাথায় রেখে করা হয়েছে। ফলে সংবিধান ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করেছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। শাসকদল সংবিধানকে কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু ভাবে না। এখানে নির্বাহী বিভাগ সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করে।’
৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন বক্তারা। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, শাসকদল সংবিধানকে কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু ভাবে না। সংবিধান নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভর করছে। নির্বাহী বিভাগ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান প্রণয়নের সময় একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রণয়নের চিন্তা মাথায় রেখে করা হয়েছে। ফলে সংবিধান ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করেছে। এখন সেই কতৃত্ববাদী সরকার চলছে। তারা এখন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘৯০ এর পরবর্তী সময়ে পরিবার কেন্দ্রিক রাজনীতিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করেছে। আর এতে তরুণ প্রজন্মকে দিয়ে অপরাজনীতি করাতে সক্ষম হয়েছে। তা ধারাবাহিকভাবে আমরা সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আজকে যে গুম, খুন হচ্ছে তা সংবিধানের মাধ্যমেই হচ্ছে। আজকে যে অপরাজনীতি চলছে তা সংবিধানকে আশ্রয় করেই চলছে। তাই সংবিধান সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। রাষ্ট্রের মূল সংকট এখন এক কেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য বারবার সংবিধানকে কাটছাঁট করা হয়েছে। নিজেদের প্রয়োজনে ক্ষমতা বাড়িয়েছে। তাই সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংস্কার জরুরি।
আলোচনাসভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতিসহ সংগঠনের আরও অনেকে বক্তব্য দেন।