ইনানী সৈকতের ভাঙা জেটি অপসারণের দাবি জানিয়ে বেলা দুই মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ৪:২৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ৭:১১ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্রসৈকতে নির্মিত জেটি অপসারণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আট কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে।জেটিটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এস হাসানুল বান্না এই চিঠি ২৯ অক্টোবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতের ১০,৪৬৫ হেক্টর এলাকায় ১৯৯৯ সালে সরকার এলাকাটিকে “প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা” (ইসিএ) ঘোষণা করে এবং সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করে। এরপর ২০১৮ সালে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা আরো সুসংহত করে। ২০২০ সালে, আইন লঙ্ঘন করে ইনানী সৈকতে একটি জেটি নির্মাণ করা হয়, যার কোনো অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় দানা আঘাত হানলে জেটিটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়ে অবৈধ জেটি উচ্ছেদের দাবি জানায়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজারের অনন্য সমুদ্রসৈকত এবং এর জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জেটিটি অপসারণ জরুরি। সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করে নির্মিত জেটির কারণে লাল কাঁকড়ার বিচরণ, বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপের ডিম পাড়ার স্থান এবং ডলফিনসহ নানা সামুদ্রিক জীবের বাসস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাপা সভাপতি এইচ এম এরশাদ জানান, অপরিকল্পিত জেটি নির্মাণের ফলে ইনানী সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা এবং যানবাহনের চলাচল বেড়ে গেছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর।