উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, জুলাই ১৬, ২০২২ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, জুলাই ১৬, ২০২২ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

স্পোর্টস ডেস্ক
বাংলােদেশ ক্রিকেট দল উইন্ডিজ সফরে গিয়ে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পরাজিত হয়েছিল। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরে নিজেদের আধিপত্য আরো একবার জানান দিল টাইগাররা। টানা ৩ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশ করল ক্যারিবিয়দের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ৯ উইকেটে। গায়ানায় আজ তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। আগে ব্যাট করতে নেমে তাইজুল ইসলামের ৫ উইকেটের কল্যাণে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজের ইনিংস। ১৭৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে লিটন দাসের ফিফটিতে ব্যবধান ৩-০ করেছে টাইগাররা। এতে ক্যারিবীয়দের ঘরের মাঠে তাদেরকেই ধবলধোলাইয়ের স্বাদ দিল বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে ১৬ বার ‘বাংলাওয়াশ’ করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দেশের বাইরে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪-এ। এ নিয়ে উইন্ডিজকে তৃতীয়বার ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি সফরকারীদের। ইনিংসের সপ্তম ওভারে আউট হন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।
দ্বিতীয় উইকেটে তামিম-লিটনের ৫০ রানের জুটি দলকে বিপদমুক্ত করে। তবে অর্ধশতকের দিকে ছুটতে থাকা তামিম হঠাৎ যেন মনোযোগ হারিয়ে বসেন। বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মটিকে ফাইন লেগে সুইপ করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন। খানিক দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন আকিল। ৪ চারে ৫২ বলে ৩৪ রান করেন তামিম। তবে অধিনায়ক তামিম না পারলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৬২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতকের দেখা পান এই ডানহাতি।
তবে সেই ইনিংসটাকে আর বেশি টানতে পারেননি লিটন। মটিকে সোজাসুজি খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন তার হাতেই। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন এই তরুণ। ৬৫ বলে ৫০ রান করে ফেরেন লিটন। যেখানে ৫টি ও ছয়ের মার ১টি। এক বল পরেই বিদায় নেন নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। মটিকে সামনে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আফিফ, কিন্তু বল টার্ন করে উইকেটে লাগে। ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি আফিফ।
আফিফের আউটে দলীয় ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন হয় সফরকারী শিবিরে। খানিক পর মোসাদ্দেক হোসেন সাজঘরে ফিরলে পরাজয়ের শঙ্কাও মাথাচাড়া দেয়। মটিকে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি। ১ চার ও ১ ছয়ে ২৫ বলে ১৪ রান করেন মোসাদ্দেক। এতে দারুণ বোলিংয়ে একাই ৪ উইকেট তুলে নেন মটি।
তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে নরুল হাসান সোহানের সঙ্গে গড়েন গুরুত্বপূর্ণ ৩১ রানের জুটি। দলীয় ১৪৭ রানের সময় রান আউটে কাটা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। তিনি সাজঘরে ফেরেন ৬২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন সোহান। ১০ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। যেখানে সোহান ৩৮ বলে ৩২ এবং মিরাজ ৩৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
