উত্তর গাজায় আবারও বড় ধরনের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ
রয়টার্স ও আল- জাজিরা
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫০
আল-মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর বিধ্বস্ত ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে এক ফিলিস্তিনি নারীর আহাজারি। গতকাল গাজা উপত্যকায়ছবি: এএফপি
উত্তর গাজার সীমান্ত এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণ
ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাংগঠনিক ‘কাঠামো ভেঙে’ দেওয়া হয়েছে দাবি করে গত দুই সপ্তাহ সেখানে হামলা শিথিল করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার সেখানে ব্যাপক ট্যাংক হামলা চালানো হয়েছে। খ্রিষ্টীয় নববর্ষের পর গতকাল সেখানে সবচেয়ে তীব্র লড়াই হয় বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
উত্তর গাজার সীমান্ত এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা গেছে। দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে এ ধরনের হামলা কম দেখা গিয়েছিল। উত্তর গাজায় সেনা কমিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ওপর জোর দিয়ে আসছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ছাড়া গতকাল রাতে সীমান্তজুড়েও ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে সকালে গাজার যোদ্ধাদের ছোড়া রকেট ভূপাতিত করতে দেখা যায় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোমকে’। এতে প্রমাণিত হয় যে ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিজেদের সক্ষমতা ধরে রেখেছে।
গতকাল গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি শহরগুলো লক্ষ্য করে ৫০টির মতো রকেট ছুড়েছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে। আহত দুই শতাধিক। গতকাল সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার ১০২তম দিন আজ মঙ্গলবার। এ সময়ে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ২৪ হাজার ১০০। নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রায় সাড়ে ১০ হাজারই শিশু। আহত ৬০ হাজার ৮০০ জনের বেশি।
গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৩২ জনের লাশ উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার হাসপাতালগুলোতে অন্তত ২৫২ জন আহত ব্যক্তি এসেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে বলে, হামলার শিকার অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আছে। অনেকে সড়কে পড়ে আছে, অ্যাম্বুলেন্সে আছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মীরা ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালায়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল।