উভয় দলের জনসভায় থাকতে হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১, ২০২২ ১০:১৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১, ২০২২ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
আজ রংপুরে বিএনপির জনসভা এবং ঢাকায় আওয়ামী লীগের ঢাকার জেলা সম্মেলনের ওপর লিখবো। এর মধ্যে দেখলাম, যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে নিয়ে বিলেত এবং কানাডার ভারতীয়রা তান্ডব নৃত্য শুরু করেছে। ছোটোকালে পড়েছি, লেজে লেজে লঙ্কা যাওয়া যায়। তেমনি ঋষি সুনাককেও লেজে লেজে ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত বলে চালানোর হাস্যকর প্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, কানাডার অন্টারিওর ভারতীয় অভিবাসী অধ্যুষিত শহর ব্রাম্পটনের আকাশ-বাতাস মুহুর্মুহু আতশবাজির আলো এবং প্রচন্ড শব্দে প্রকম্পিত হয়েছিল। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কানাডার ব্রাম্পটনের এই উৎসবের উৎস ছিল পত্রিকাটির ভাষায় পুকুরের ওপারে। অর্থাৎ ইংল্যান্ড বা যুক্তরাজ্য। অনেকে বলেন, গ্রেট ব্রিটেন বা বিলেত। সেই বিলেতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ঋষি সুনাক। তিনি নাকি ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত। আর সেই আনন্দেই শুধু বিলাতে নয়, পশ্চিমা আরেক দেশ কানাডার ভারতীয়দের মধ্যেও উৎসবের হিড়িক। ছোট বেলায় আরো শুনেছি, চিলে কান নিয়ে গেছে, এই কথা বলা হয় এক যুবককে। কথাটি শুনে যুবকটি চিলের পেছনে দৌড়াতে থাকে। চিল তো আকাশে। তার এই দৌড় দেখে কয়েকজন পথচারী তাকে জিজ্ঞেস করলো, ভাই, আপনি দৌড়াচ্ছেন কেন? যুবকটি উত্তর দিলো, ঐ যে আকাশে দেখছেন চিলটা, ঐ চিলটা আমার কান নিয়ে গেছে। পথচারীরা তার দুই কান ভালভাবে দেখে বলল, কই আপনার দুই কান তো যথাস্থানেই আছে। যুবকটি তার দুই কানে হাত দিয়ে দেখলো, তাই তো, আমার দুই কান তো ঠিক যায়গাতেই আছে।
ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত কি না, সেটি যাচাই না করেই এক শ্রেণীর মিডিয়ার রিপোর্ট দেখে ইংল্যান্ড এবং কানাডার ভারতীয় প্রবাসীরা উদ্বাহু নৃত্য শুরু করেছে। কিন্তু যাচাই করে দেখা যাচ্ছে যে, ঋষি সুনাককে কোনো অবস্থাতেই ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত বলা যাবে না। তিনি ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের সাউদ্যাম্পটন জেনারেল হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা যশবীর সুনাক জন্মগ্রহণ করেন এবং বড় হন আফ্রিকার কেনিয়া রাষ্ট্রে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। তার মাতার নাম উষা সুনাক। তিনি জন্মগ্রহণ করেন আফ্রিকার তানজানিয়ায়। পেশায় তিনি একজন ফার্মাসিস্ট। ঋষি সুনাকের পিতা মাতা আফ্রিকা থেকে ইংল্যান্ডে মাইগ্রেট করেন। তার দাদা এবং দাদী অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন। পাঞ্জাবের যে স্থানে তারা জন্মগ্রহণ করেন সেই স্থানটি এখন পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত, ভারতীয় পাঞ্জাবে নয়।
এখন সম্মানিত পাঠক-পাঠিকা ভাইয়েরা বলুন, ঋষি সুনাক কীভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত হচ্ছেন? এখন বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদেশে প্রবাসী হয়েছেন। তারা সেখানে ইমিগ্রান্ট বা অভিবাসী হয়ে প্রথম বিদেশে যান। তারপর বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সেই দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। এসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে কোনো দেশে চার বছর, আবার কোনো দেশে পাঁচ বছর লেগে যায়। যারা জন্মগতভাবে ইংল্যান্ড, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, একমাত্র তাদের সন্তানরাই ঐসব দেশে জন্মগতভাবে সেইসব দেশের নাগরিক হন এবং সেখানকার নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে পারেন। যারা মাইগ্রেট করে বিদেশে যান এবং ৪/৫/৬ বছর পরে সে দেশের নাগরিক হন তাদেরকে বলা হয় সিটিজেন বাই ডোমিসাইল। এই যে অন্যদেশ থেকে এসে যারা লন্ডন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হন, তারা কিন্তু ঐসব দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু তারা নাগরিকত্ব লাভ করার পর তাদের যে সন্তানসন্ততি ঐসব দেশে জন্মগ্রহণ করে তারা কিন্তু সেই দেশের নাগরিক হয়। তারা জন্মগতভাবে ঐসব দেশের নাগরিক হওয়ায় ঐসব দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন।
ঋষি সুনাক হ্যাম্পশায়ারের সাউদ্যাম্পটনে ভ‚মিষ্ঠ হওয়ায় তিনি জন্মগতভাবে একজন ব্রিটিশ। সেজন্য তিনি ব্রিটেনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরেছেন। যেখানে তার বাপ-দাদারাও ইংল্যান্ডে জন্মগতভাবে ব্রিটিশ নাগরিক নন, সেখানে ঋষি সুনাককে ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত কোনোভাবেই বলা যায় না। যদি লেজে লেজে লঙ্কায় যেতে হয় তাহলে তাকে হয় আফ্রিকান (পৈত্রিকভাবে) অথবা পাকিস্তানী (দাদা-দাদীর সূত্রে) বলা যায়। চিলে কান নিয়ে যাওয়ার মতো গুজবে ব্রিটেন এবং কানাডার ভারতীয়রা যেভাবে নৃত্য করছেন সেগুলো দেখে রয়টার্স ও এএফপির মতো বিশ^বিখ্যাত সংবাদ সংস্থাসমূহও হেড লাইন করেছে, চৎরসব গরহরংঃবৎ জরংযর ঝঁহধশ / ওহফরধ ৎবাবষং, টক ংযৎঁমং. অর্থাৎ ঋষি সুনাকের বংশ পরিচয় নিয়ে ভারতীয়রা যা করছে সেগুলো দেখে, ‘ভারতীয়রা উৎসব করছে কিন্তু যুক্তরাজ্য ভারতীয়দের উল্লাসকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে।’
দুই
এখন ফিরে আসছি রংপুরে বিএনপির জনসভা এবং ঢাকায় আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা সম্মেলন প্রসঙ্গে। সকলেই জানেন যে, কী প্রচন্ড প্রতিক‚ল পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির বিভাগীয় জনসভাগুলো হচ্ছে। প্রথমে চট্টগ্রাম। সেখানে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। কিন্তু চট্টগ্রামের জনসভায় লক্ষ লক্ষ লোক দেখে সম্ভবত শাসক দল আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সম্ভবত তারা ভাবতেই পারেনি যে, বিএনপির জনসভায় এত বিপুল লোক সমাগম হবে। কারণ, বিএনপিতে তো এই মুহূর্তে জনগণকে আকৃষ্ট করার মতো বেগম খালেদা জিয়ার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতা নাই। এছাড়া আওয়ামী লীগ তো বিগত ১৪ বছর হলো বিএনপিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আসছে। তারা অসংখ্যবার বলেছে যে, রাজপথে আসার মতো মুরোদ বিএনপির নাই। বিএনপি সত্যিকার অর্থে একটি রাজনৈতিক দল নয়। অবশ্য আওয়ামী লীগের এই ধরনের উপক্ষো বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার পেছনে কিছু কারণও রয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর হলো বিএনপি রাজপথে আসে নাই। অবশ্য সেটারও জেনুইন কারণ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রবল দমননীতি চালিয়েছে, তার ফলে বিএনপির পক্ষে রাজপথে আসা তো দূরের কথা, ঘরে টেকাই দায় হয়ে পড়েছিল। অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন। অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ায় তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। বিএনপি দাবি করছে যে, এখনো ৩৫ লক্ষ মামলা তাদের নেতাকর্মীদের মাথার ওপর ঝুলছে। সে কারণেই বিএনপিকে এই প্রবল ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। গুম এবং খুনের শিকার হয়েছে তাদের কয়েক শত কর্মী। এর মধ্যে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং জ¦ালানি সহ প্রতিটি দ্রব্যসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় বিরাট ধস নামে।
এসব জুলুম-নির্যাতনের এবং আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা দ্রæত নি¤œমুখী হওয়ার পটভ‚মিতে দলকে গুছিয়ে বিএনপি মাঠে নেমেছে। চট্টগ্রামের বিশাল ও ঐতিহাসিক জনসমাগম দেখার পর বিএনপি নিজেও হয়তো বিশ^াস করতে পারেনি যে, তাদের সভায় এত লোক সমাগম হবে। বিএনপিও দেখেছে এবং পর্যবেক্ষক মহলও দেখেছেন যে, বিএনপির জনসভায় শুধুমাত্র তাদের নেতাকর্মীরাই আসছেন না, তারচেয়েও অনেক বেশি সংখ্যায় আসছেন আমজনতা।
চট্টগ্রামের জনসভার অভুতপূর্ব সাফল্য দেখে বিএনপির ময়মনসিংহ জনসভাকে বানচাল করার পরিকল্পনা করে আওয়ামী লীগ। বিদেশিদের চাপে সরকার বলেছে যে, বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপিকে সভাসমিতি করতে বাধা দেওয়া হবে না। তাই তারা বিএনপিকে জনসভা করার পারমিশন দিয়েছে। কিন্তু সেই সভা বানচাল করার জন্য প্রথমে সভার মাত্র ২/৩ দিন আগে পারমিশন দেওয়া হয়। এরপর সভা শুরুর ১ দিন আগে থেকে দেওয়া হয় পরিবহন ধর্মঘট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি হলো সরকারি হরতাল। সব রকমের যানবাহন বন্ধ করার পরেও ময়মনসিংহের জনসভা অভ‚তপূর্ব সাফল্য লাভ করে। সেটা দেখে আওয়ামী লীগ পরিকল্পনা করে খুলনার জনসভা বানচাল করার। খুলনায়ও একই খেলা হয়। সভা হওয়ার আগে আবার বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, লঞ্চ, স্টিমার ইত্যাদি ঘর্মঘট। এমনকি রূপসা নদী পার হওয়ার ফেরি পর্যন্ত বন্ধ করা হয়। কিন্তু তারপরেও মানুষকে আটকানো যায়নি। খুলনার অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপি বুঝে নিয়েছিল যে, পরের জনসভা অর্থাৎ রংপুরের জনসভাকেও একই কায়দায় বানচাল করার চেষ্টা করা হবে। সুতরাং ২৮ ও ২৯ অক্টোবর পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হয়। এই যে পরিবহন ধর্মঘট সেটা যে, শাসক দল আওয়ামী লীগ করছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে ২৮ অক্টোবর ডেইলি স্টারের প্রথম পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্রধান সংবাদে। শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ঝঃৎরশবং নবভড়ৎব ইঘচ ৎধষষরবং / অখ ষবধফবৎং ঢ়ঁষষরহম ঃযব ংঃৎরহমং. অর্থাৎ বিএনপির সমাবেশের পূর্বাহ্নে ধর্মঘট / আওয়ামী লীগ নেতারা পেছন থেকে সুতা নাড়ছেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
বরিশালে বিএনপির সভা ৫ নভেম্বর। অনেক আগেই সরকারি দলের ইন্ধনে বরিশালে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে ৪ ও ৫ নভেম্বর। ফরিদপুরের জনসভা ১২ নভেম্বর। সেখানেও একই কৌশল নেওয়া হবে। কিন্তু এগুলো করে সরকারের কোনো লাভ হচ্ছে না। মানুষের জিদ বরং বেড়ে যাচ্ছে।
তিন
আওয়ামী লীগ বলেছে, তারাও রাস্তায় নামবে। ভালো কথা। গণতান্ত্রিক উপায়ে বিএনপিও রাস্তায় নামুক, আওয়ামী লীগও রাস্তায় নামুক। কিন্তু রাস্তায় নামলে, যে মাঠে তারা খেলবেন, সেই মাঠটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। বিএনপির সভার আগে পরিবহন ধর্মঘট, আর আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা সম্মেলনের আগে ৭৫০টি বাস এবং ১০০টি প্রাইভেট কার যোগে নেতাকর্মীদের পরিবহন, আর যাই হোক, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় না। আওয়ামী লীগ বলেছে খেলা হবে। সুষ্ঠু সুন্দরভাবে খেলা হোক, সেটাতে কারো কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু খুলনা এবং রংপুরের মতো শুধু পরিবহন ধর্মঘট নয়, শহরের প্রবেশমুখে চেক পোস্ট বসানো, সিএনজি এবং ইজি বাইককে শহরে ঢুকতে না দেওয়া এবং সভার ১ দিন ২ দিন আগে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি রেইড করা কোন গণতান্ত্রিক রীতি, সেটি নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ থাকবে সভার নিরাপত্তার জন্য। সভায় আগতদের ভাগিয়ে দেওয়ার জন্য নয়।
এ নিয়ে অনেক কথাই বলার আছে। আগামীতে ইনশাআল্লাহ বলার মতো অনেক অকেশান আসবে। বড় নেতারা বক্তৃতা দেওয়ার সময় আর যাই করুন, ব্যক্তিগত আক্রমণ যেন না করেন। ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, বিএনপির কর্মসূচির জন্য দুবাই এবং আবুধাবি থেকে টাকা আসে। তিনি আরো বলেছেন যে, কর্মীরা চিড়া মুড়ি নিয়ে সভায় আসেন, তারা ফুটপাতে বা মাঠে রাতে ঘুমান। আর তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল টাকার বস্তার ওপর শুয়ে থাকেন। এই ধরনের অভিযোগ করার সময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ, এগুলো গুরুতর অভিযোগ। যিনি বা যারা অভিযোগ উত্থাপন করেন তাদের দায়িত্ব সেই অভিযোগ প্রমাণ করা। আওয়ামী লীগ কি পারবে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে যে মির্জা ফখরুল টাকার বস্তার ওপর শুয়ে থাকেন অথবা আবুধাবি ও দুবাই থেকে বিএনপির জন্য টাকা আসে?
মির্জা ফখরুল এর জবাব দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রীকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন যে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে সামাল দিতে পারবেন না। তিনি আরো বলেছেন, ‘কার কোথায় কত বাড়ি ঘর আছে, কত টাকা সরিয়েছেন, কীভাবে সরিয়েছেন, কীভাবে নিয়ে গেছেন, এইসব কথা দেশের মানুষ জানে এবং তা প্রকাশিত হবে।’
আওয়ামী লীগ মাঠে নামছে সেটিকে গণতন্ত্রমনা মানুষ ওয়েলকাম করে। তবে তাদের প্রত্যাশা, রাজপথে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক পথে নিজ নিজ কর্মসূচী পালন করবে। পুলিশ সেখানে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষক হিসেবে কাজ করবে। এখন যদি কোনো দলের হঠকারিতার জন্য সংঘর্ষ বেঁধে যায় তাহলে সেই সংঘর্ষ অশান্তি এবং অরাজকতা সমগ্র বাংলাদেশকে গ্রাস করবে।
Email: journalist15@gmail.com