এনএসইউ বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার পথপ্রদর্শক, দেশের প্রথম এবং সকল ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থানকারী আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিস এর পরিচালক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য মিজ রেহানা রহমান।
জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিপীড়িত মানুষের নেতা, গণমানুষের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সমাদৃত। বিশ্বনেতাদের চোখে তিনি হিমালয়সম। এই মহান নেতার হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা। বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র।তিনি বাংলাদেশের মানুষের মাঝে মুক্তির যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় আমরা আজ একটি উন্নয়নশীল মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমাদের দেশকে কিভাবে পরিচালনা করব তার সব দিক নির্দেশনা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গিয়েছেন, যেমনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জন্য পুরো নির্দেশনা ৭ই মার্চের ভাষণে দিয়ে ছিলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আজ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করে বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত হয়েছে বলে ঘোষণা করেণ। আজকে আমরা যে শতভাগ বিদ্যুৎতায়িত দেশে পরিনত হয়েছি এই রূপান্তর বাঙালির অসাধারণ সক্ষমতার পরিচয়। ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। আমরা করোনা মহামারীর মধ্যে এ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেখতে পেয়েছি। এই করোনা কালে পৃথিবীর বহুদেশ যখন ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ তখন সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।এসময় তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের বঙ্গবন্ধু এর বই গুলো অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন পড়তে হবে। এই বই গুলা পড়লে তোমরা বুঝতে পারবা কেন বঙ্গবন্ধুকে তোমরা আদর্শ হিসেবে নিবে। বঙ্গবন্ধু তোমাদের দেশটি দিয়ে গিয়েছেন, বাংলাদেশ তোমাদের এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তোমরা। তোমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। জ্ঞানের দরজা বন্ধ করে রাখলে জ্ঞানী মানুষ পাওয়া যায় না। আমি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না, আমরা যে ভাবে লেখা পড়া করে এসেছি পৃথিবী সেই যায়গাতে নেই এখন শিক্ষার একটি ডিজিটাল রূপান্তর দরকার। এসময় তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে। তাদের আবিষ্কার মেধাস্বত্বের মাধ্যমে রক্ষা এবং বাণিজ্যিকরণ করতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, যতদিন পর্যন্ত এদেশের মানুষ চিন্তায়, চেতনায়, অনুভূতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে চলবে ততদিন পর্যন্ত এদেশের উন্নয়ন কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।
এসময় এ উপলক্ষে আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক এবিএম রাশেদুল হাসান, স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, স্কুল অব হিউম্যানিটিস এন্ড সোস্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক ড. জাবেদ বারী, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীবৃন্দ ।