• আজ রাত ১০:৪০, বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

এবারও সিন্ডিকেট হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: মঙ্গলবার, মে ৩১, ২০২২ ৫:২৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: মঙ্গলবার, মে ৩১, ২০২২ ৫:২৯ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে এবারও সিন্ডিকেট হলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জনশক্তি রফতানিকারক নেতারা। সিন্ডিকেটবিরোধী এই নেতারা বলেছেন, এবারও সিন্ডিকেট করার চেষ্টা হলে প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে অনশন করবেন তারা। ‌‌‌‌‌তবুও কোনোভাবে এই সিন্ডিকেট মেনে নেওয়া হবে না।

‌মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বায়রা সিন্ডিকেটবিরোধী মহাজোট আয়োজিত ‘মর্যাদাপূর্ণ সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ বিষয়ে’ মতবিনিময় সভায় তারা এই হুঁশিয়ারি দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে আবারও সিন্ডিকেট হলে কঠোর আন্দোলন হবে। প্রয়োজনে আমরা কাফনের কাপড় পরে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সামনে অনুসরণ করব। তবু সিন্ডিকেট হতে দেবো না।’

আবুল বাশার বলেন, ‘এবার সিন্ডিকেট হলে ব্যয় বাড়বে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনোভাবে সরকার যেন আপস না করে।’ এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জনশক্তি রফতানিকারক ও ব্যবসায়ী নুর আলী ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘যদি ২৫ জনকে শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয় তবে চার ভাগের এক ভাগও পাঠানো যাবে না। গায়ের জোরে এই সিস্টেম চালু হলেও পরে মালয়েশিয়ার আরেক সরকার এলে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। মালয়েশিয়ান সিস্টেমকে পরিহার করে আমাদের নতুন সিস্টেম চালু করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ওপেন সিস্টেমের কথা বললে তারা মেনে নেবে। মালয়েশিয়া যে সিস্টেমে কর্মী নিতে চাচ্ছে সেটি সে দেশের রাজনৈতিক নেতারা চায় না। দেশটিতে ৫১৩টি এজেন্সি। ‌কিন্তু সেখানে তো কোনো সিন্ডিকেট নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন এজেন্সিগুলো ব্যবসা করতে পারবে না। দেশটির ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ রাজনৈতিক নেতারা তো দাতো আমিনের সিস্টেমকে সমর্থন করছে না।’

সিন্ডিকেটবিরোধী নেতা মোস্তফা মাহমুদ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী আসার দিন আমরা সচিবালয়ের সামনে মানববন্ধন করব। এবারও যদি সিন্ডিকেট হয় তবে আমরা সহ্য করবো না। প্রয়োজনে আন্দোলন নামবো।’

হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এবার সিন্ডিকেট হলে সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামবো।’

সিন্ডিকেটবিরোধী নেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যারা সিন্ডিকেট করছেন আপনারা ভাববেন না আমরা চুপ করে বসে থাকব। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন হবে।’

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘এটি সিন্ডিকেট অবাস্তব। ‌ সিন্ডিকেট হলে স্বচ্ছতা থাকবে না।’

এনআরবির চেয়ারম্যান শাকিল চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে দুই পক্ষ যদি সিন্ডিকেট না চায় তাহলে সিন্ডিকেট চায় কারা? আজ সিন্ডিকেটের কারণে যদি শ্রমবাজার বন্ধ হয় তবে দুই পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দেবেন না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মেহজাবিন খালেদ, বায়রার সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাবেক সভাপতি নূর আলী, ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান, ওয়্যারবী চেয়ারম্যান সাইফুল হক, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, রামরুর চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকী, এজেন্সির মালিক আয়নাল হোসেন প্রমুখ।

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ