কুসিক নির্বাচন :শেষদিনে প্রচারণার উত্তাল কুমিল্লা
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, জুন ১৩, ২০২২ ৫:০৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, জুন ১৩, ২০২২ ৫:০৭ অপরাহ্ণ
আগামী১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য কুসিক নির্বাচনে সোমবার ছিল প্রচারণার শেষ দিন। মেয়র,কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের শেষ প্রচারণায় নগরী ছিল উত্তাল। সকাল থেকেইপ্রার্থীরা বের হয়ে যায় গণসংযোগে আর বিকেলে নেমে আসে গগনবিধারী মাইকের নানা আওয়াজ। বিকাল চারটার দিকে শুরু হয় নগরজুড়েবৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে প্রচার প্রচারণা। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় প্রার্থীরা ছিলমরিয়া।
নৌকার মাঝি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সকালে নগরীর রাণীর দিঘির পাড়েরনিজের নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিকদের সাথে বলেন, আমার পক্ষ থেকে তাদের বাধা দেওয়া, নির্বাচনপরিবেশ নষ্ট করার কোনো প্রশ্নই উঠেনা। আমরা চাই কুমিল্লায় শান্তিপূর্ণনির্বাচন হউক। যেই নির্বাচিত হউক আমি আমার এবং দলের পক্ষে সুস্বাগতম জানাবো।
নির্বাচনে টাকা ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী যার বিরুদ্ধে আমিদুর্নীতির অভিযোগ এনেছি- তিনি কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। এমনকি আমার কর্মীদেরকেও টাকাদেয়ার চেষ্টা করছেন। সাবেকমেয়র ও ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সোমবার সারাদিন নিজের বাসভবনেনেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলেন।
সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়েই ফিল্ড নাই, সংসদ সদস্যতো চিঠি আমলেই নিলেন না। সিটির চর্তুদিকে ইউনিয়ন পরিষদ, সেখানকার সব চেয়ারম্যান বাহার ভাইয়ের লোক। উনিতাদের বলতেছে ভোটের দিন ইউনিয়ন থেকে লোক এনে রাস্তায় প্যানিক সৃষ্টি করব, যাতেভোটাররা কেন্দ্রে না যায়।
এ দিকেসোমবার বেলা বারোটায় রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করাস্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার। এসময় বহিরাগতদের উপস্থিতি ভোটারের মাঝে শঙ্কা ও ভয় বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদেরকুমিল্লা শহরের ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, সেইটা হচ্ছেবহিরাগত। সরকারদলীয় প্রার্থী তার পক্ষে বহিরাগতদের এনে জড় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্থানীয় সাংসদের বিষয়ে যে অসহায়ত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তাতে আমরা কুমিল্লার মানুষ এতদিন যে আশা নিয়েছিলাম। এখন আমরা একটু হতাশাগ্রস্থ। কারণ ওনার অসহায়ত্ব মানে প্রশাসনের অসহায়ত্ব,নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব।