গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় সিপিবির
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ার লক্ষ্যের প্রতি আবারও অবিচল আস্থার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দ্বাদশ কংগ্রেসের কাউন্সিলে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষকরা।
আজ রবিবার কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কংগ্রেসস্থলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দুই দিনের আলোচনার পর সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম রাজনৈতিক প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আহ্বান জানালে উপস্থিত প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিনিধি কার্ড ঊর্ধ্বে তুলে ধরে প্রস্তাব অনুমোদন করেন। আজ সোমবার কাউন্সিলের চতুর্থ দিনের অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেস সমাপ্ত হবে। রবিবার অষ্টম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কংগ্রেসের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত। ৩৪ জন প্রতিনিধি রাজনৈতিক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।
ওই আলোচনায় তারা বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে যে পচন ও অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে সেই সংকট নিরসন করা যাবে না। বুর্জোয়া রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি এবং গণশক্তির সচেতন সংগঠিত উত্থান ছাড়া বর্তমানের দুঃশাসন হটানো ও ব্যবস্থা বদলানো সম্ভব নয়। তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে সুস্পষ্টভাবে এ কথাও প্রমাণ করছে যে, সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদী বিশ্বায়নই আজ সকল জাতির ও মানবসমাজের দুর্দশার মূল কারণ এবং সমাজতন্ত্রের পথ ধরেই এই সংকট থেকে মুক্তি সম্ভব। কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধনের কঠিন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যেতে হবে। এর আগে সপ্তম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টের ওপর আলোচনা শেষে পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম রিপোর্টের ওপর সমাপনী বক্তব্য দেন। এরপর হাউস সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করে।
সোমবার দলের ঘোষণা-কর্মসূচি সমসাময়িকীকরণ ও গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে কংগ্রেসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও দশম অধিবেশনে অডিট কমিটির রিপোর্ট ও একাদশ অধিবেশনে কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্টের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী চার বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশন নির্বাচন করা হবে এবং জাতীয় পরিষদ ঘোষণা করা হবে বলে পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।