গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মে ২৮, ২০২২ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মে ২৮, ২০২২ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছেন অমর একুশের গানের রচয়িতা, প্রবীণ সাংবাদিক, কলাম লেখকআবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেআনা হয়। দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে তার মরদেহে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর সর্বসাধারণ তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনকরেন।
নয় দিন আগে প্রয়াত হওয়া গাফফার চৌধুরীর মরদেহ আসার খবরে আগে থেকেই প্রেসক্লাব এলাকায় ভিড় করে শত শতমানুষ। শেষবারের মতো এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি আসার সঙ্গেসঙ্গে সেটিতে ঘিরে ধরেন সর্বস্তরের মানুষ। এরপর সারিবদ্ধভাবে একে একে শ্রদ্ধা জানান তারা।
যারা এসেছেন প্রায় সবার হাতেই ছিল ফুল। কেউ আবার শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফুলের তোড়া দিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে যেমন অনেকেশ্রদ্ধা জানিয়েছেন, আবার অনেক সংগঠনও আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানান এই ভাষা শহীদের প্রতি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গাফ্ফার চৌধুরী শুধু লেখকই ছিলেন না, তিনি আমাদের সমাজের আলোকবর্তিকা। আমি তো মনে করি বাতিঘর। গত কয়েক মাস আগেও প্রবাসীদের একটা অনুষ্ঠানকরেছিল। সেখানে হাসপাতাল থেকেও তিনি যুক্ত হয়েছিলেন, সবাইকে জীবিত করেছিলেন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকাল সাড়ে তিনটায় মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানেজানাজার পর মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে। সেখানে সাংবাদিকরা তার মরদেহবাহী কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।বিকেল সাড়ে ৫টায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালালআন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সরকারের পক্ষে মরদেহ গ্রহণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক মমোজাম্মেল হক।
গত ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তারবয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। বরিশাল জেলার উলানিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণকরেন তিনি। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’রপ্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
