গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে নৌকার জয়ে বাধা ‘বিদ্রোহীরা’
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, জুন ১৩, ২০২২ ৯:১৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, জুন ১৩, ২০২২ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাচন ১৫ জুন। হাতে মাত্র ২৪ ঘন্টা। দেশের বৃহৎ দলগুলোর একটি বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচনী উত্তাপে কোন ভাটা পড়েনি। তবে বিএনপি ছাড়াই ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। দুই নির্বাচনেই নৌকার জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের ‘বিদ্রোহীরা’। দল থেকে বহিস্কার করেও নির্বাচন থেকে তাদেরকে দূরে রাখা যায়নি। এখন দলীয় প্রতীক নৌকার জয়ে ‘পথের কাটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করছেন প্রয়াত চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামেন ঢাকাদক্ষিণ কলেজের সাবেক ভিপি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা শফিক উদ্দিন। উপনির্বাচনে যেখানে নৌকা প্রতীকের জয় অবশ্যম্ভাবী ছিল সেখানে শফিক উদ্দিন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা গোপনে কাজ করছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে। ইতোমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিক উদ্দিন এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম আহমদকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও দলের অনেক নেতা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন প্রার্থী। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। প্রথমবারের মতো এই পৌরসভার ভোটাররা ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে সবাই প্রবাসী। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৪ জন, যুক্তরাজ্যের ২ জন ও কানাডার ১ জন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান মেয়র আবদুস শুকুর। তার সাথে বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলের একাধিক নেতা। দলীয় সিদ্ধান্ত না মানায় ইতোমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী বিয়ানীবাজার কলেজের সাবেক জিএস ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকুল হক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আবদুল কুদ্দুস টিটুকে বহিস্কার করা হয়েছে। নির্বাচনে আবদুস শুকুরের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ফারুকুল হক ও আবদুল কুদ্দুস টিটু। এ দুইজন প্রার্থী না হলে আবদুস শুকুর সহজেই জয় পেতেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকরে জানা গেছে, নির্বাচনে চর্তুমূখী লড়াই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন- নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবদুস শুকুর, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক, সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুস ছবুর। এই চারপ্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ভোটারদের কাছ থেকে আলাপ করে জানা গেছে।
বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আওয়ামী লীগ করে তারা কখনো দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে তারা কোন ফ্যাক্টর নয়। মানুষ এখন উন্নয়নে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনার উপর মানুষের আস্থা আছে। উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করবে।