• আজ বিকাল ৩:১০, শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

জনগণের দাবি খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বৃহস্পতিবার, মে ২৬, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বৃহস্পতিবার, মে ২৬, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো যায় কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও কারাগারের বাইরে জীবন কাটাচ্ছেন। বিএনপির ব্যর্থতার কারণে জনগণ মনে করে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো উচিত।’

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগে ফেইসবুকে দেখলাম, বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল সাহেবরা সাঁতরে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে, তারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো; আওয়ামী লীগ সরকার সেটি করতে পারবে না বলে আস্ফালন করেছিলো। সেজন্য তাদের সাঁতরে পদ্মা পার হওয়া উচিত, সেতুর ওপর দিয়ে নয়।’

যারা পদ্মা সেতু নির্মাণে বিরোধিতা করেছিলো তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সেটির প্রমাণ। সেই খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দু’বছর তাকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়েছেন।’

এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা এবং ডিআরইউ সভাপতি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান সূচনা করেন। হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় বলেন, ২৭ বছরের পথ পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে, রাজনীতিকভাবে বিভক্ত হয়নি, যা অত্যন্ত বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি। আশা করি আগামী ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করলে রাষ্ট্র বিকশিত হয়, সমাজ বিকশিত হয়, উপকৃত হয়। সেই কথাটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গত সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিলো, এখন প্রায় ৩৮টি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। আরো কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে। বেসরকারি রেডিও ছিলো না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও ১৮টির মতো কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ১২শ’তে উন্নীত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত হাজার সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়, তবে আমাদের কাছে ৫ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। আমরা গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে কাজ করছি। বাংলাদেশে গণমাধ্যম যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যেভাবে বিকাশ হয়েছে, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু তার শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বলেন, ‘যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততোদিন দেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অগ্রণী ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে।’

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ