জনভীতি থেকেই সরকার বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, অক্টোবর ২১, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, অক্টোবর ২১, ২০২২ ১০:১৩ অপরাহ্ণ
আগামীকাল শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠেয় সমাবেশে বাধার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনভীতি থেকেই সরকার বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার জনভীতি রোগে ভোগে। মানুষ দেখলেই ভয় পায়। যে কারণে তারা নির্বাচনগুলোও ওভাবে করে, যাতে করে জনগণকে বাদ দিয়ে করা যায়। সেই পদ্ধতিতে নির্বাচন করে। রাষ্ট্রও চালাতে চায় তারা মানুষকে বাদ দিয়ে। রোগটাই তাই। যে কারণে আজ তারা ভয় পাচ্ছে। এভাবে যদি জনগণ জেগে ওঠে, গণ-অভ্যুত্থান হবে। তখন অত্যন্ত ধিক্কৃত অবস্থায় সরে যেতে হবে।
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের দমনপীড়ন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যে বাসায় আছেন, সেখানে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ খুলনা শহরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা রাম দা, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে।
মহাসচিব বলেন, এই সরকারকে আমরা যদি না সরাতে পারি তাহলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। এরা গণতন্ত্রের কথা বলে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বাস মালিকদের দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন শুনছি রেলও বন্ধ করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। অনির্বাচিত সরকার হয়েও টেলিভিশন, বক্তৃতায় সারাক্ষণ ঢাকঢোল পেটাচ্ছে। দুর্ভাগ্য যে এই ধরনের একটি গণবিরোধী শক্তি আমাদের শাসন করছে। তিনি সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এ থেকে বিরত থাকার আহ্বান ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বাধা দিলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।