• আজ সন্ধ্যা ৬:৫২, বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

জমে উঠেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১:১৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১:১৭ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

জমে উঠেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম অফিস আর ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ছুঁটছেন তারা। ডিইউজের নির্বাচনী প্রচারণার রং লেগেছে সামাজিক মাধ্যমেও। পছন্দের প্রার্থীদের জন্য ভোট চেয়ে পোস্ট দিচ্ছেন শুভাকাঙ্খী ও সহকর্মীরা। ভোট চেয়ে পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই প্রার্থীরাও।

নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা সবাই সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। তিনটি প্যানেলের প্রতিশ্রুতি প্রায় কাছাকাছি। তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে- গণমাধ্যম কর্মী আইন সংশোধনসহ জাতীয় সংসদে পাস করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা। টেলিভিশন ও নিউজ পোর্টালে কর্মরত সংবাদিকদের জন্য ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের নীতিমালা প্রণয়ন, বেতন কাঠামো তৈরি ও সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ। সাংবাদিকদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহযোগিতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। সাংবাদিকদের আবাসন নিশ্চিতে ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিকল্পনা ও প্রকল্প এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করা। স্বল্প ব্যয়ে ডিইউজে-এর সদস্যদের চিকিৎসাসেবা ও গ্রুপ বীমা চালুর পদক্ষেপ নেওয়া কথা নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছেন প্রার্থীরা।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বর্তমান সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবারও সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি একটি প্যানেল প্রধান। তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন বার্তা২৪ ডটকমের গাজী জহিরুল ইসলাম। ২১ জনের প্যানেল হলেও তার প্যানেলে রয়েছে ১৯ জন। কুদ্দুস আফ্রাদ-গাজী জহিরুল ইসলাম পরিষদ থেকে ৫ জন নারী সংবাদকর্মী নির্বাচনে লড়ছেন।

এছাড়াও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবার লড়ছেন সভাপতি পদে। সাজ্জাদ আলম খান তপুর প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন আকতার হোসেন। সাজ্জাদ তপু-আকতার হোসেন পরিষদ থেকে ৩ জন নারী সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন। এই প্যানেল অন্যান্য দাবির পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন নির্ধারণের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে এবং ডিইউজে কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টার চালুর উদ্যোগও নিবে।

‘অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন লড়াইয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ শুধু আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার’ এ স্লোগন নিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন সোহেল-মেহেদী পরিষদ। এ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী সোহেল হায়দার চৌধুরী যায়যায় দিনে কর্মরত। তিনি ২ বার সাংগঠনিক সম্পাদক আর ২ বার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী মো. মেহেদী হাসান গাজী টিভিতে কর্মরত। এ প্যানেল থেকে ২ জন নারী সাংবাদিক লড়ছেন। প্রবীণ আর নবীনের মেলবন্ধনে আগামীর পথ চলার কথা বলছে এই পরিষদ।

কুদ্দুস আফ্রাদের কাছে প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, সভাপতি হিসেবে জয় লাভ করে কি কি কাজ করেছেন? জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশে করোনা শনাক্ত হয়। আমাদের টোটাল মেয়াদের প্রায় ১ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে, করোনার নানা বিধিনিষেধের মধ্যে। করোনার সময়ে সাংবাদিকদের জন্য একটি কঠিন দুর্যোগ নেমে এসেছিল। করোনায় সময়ে যেমন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির পাশাপাশি একইভাবে আমাদের চাকরি, অর্থনৈতিক বিষয়সহ নানান সমস্যা ছিলো। চলাফেরার বিধিবিধানগুলো মালিকদের দ্বারা সেভাবে প্রতিফলিত না হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে গণমাধ্যম কাজ করছে। করোনার সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গণমাধ্যমের হাউসগুলোতে কিভাবে কাজ করা যেতে পারে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সে বিষয়ে ব্যাখাসহ প্রতিটি গণমাধ্যম অফিসে চিঠি দিয়েছি। যাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাজ চালানো যায়।

তিনি আরও বলেন, যেসব হাউস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো, সেগুলো যাতে সরকারে সহায়তা নিয়ে চালু রাখা যায় বারবার আমরা চিঠি দিয়েছি। এছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে করোনা শনাক্ত করার সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ হাসপাতালের সুবিধার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমাদের দায়িত্বের একটা বিশাল সময় ছিলো করোনাকাল। যখন মানুষ ঘর থেকে বেড় হয় নাই, সে সময় সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে আমরা মানববন্ধন করেছি, সভা-সমাবেশ করেছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করেছি।

আপনারা জানেন প্রথম আলোর মত একটা বড় প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে বড় সংখ্যক ছাঁটাই রোধ করতে সক্ষম হয়েছি। যেসব জায়গায় বেতনা, বকেয়া পাওনা ছিলো, সেসব আদায়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। জনতায় প্রায় ১ বছর যাবত বকেয়া ছিলো, কারো কারো প্রায় ২ বছরেরও বকেয়া ছিলো, সেই বকেয়া আমরা আদায় করে দিয়েছি। যেখানে চাকরিচ্যুত হয়েছে, সেখানে পাওনা আদায়ে আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের ২ বছরের সময় কঠিন ঝঞ্জার মধ্য দিয়ে গেছে।

তবে এটাও সত্য করোনাকালে মালিকরাও নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারও নানা ব্যতিব্যস্ত ছিলো। সরকারকে আমরা সে ভাবে রিচ করতে পারি নাই। আমাদের ইচ্ছা ছিলো এ সংগঠনকে আরও গতিশীল করা।

আপনারা অনেকে জানেন, অতীতের এ সংগঠনের নামকাওয়াস্তে একটা গঠনতন্ত্র ছিলো। পাঁচ পাতার গঠনতন্ত্র। এতবড় একটা সংগঠন, যে সংগঠনের সদস্য হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার। পেশাজীবীদের সবচেয়ে মর্যাদাবান সংগঠন। এ সংগঠনের গঠনতন্ত্র ছিলো মাত্র ৫ পৃষ্ঠার। একটা পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র আমরা প্রণয়ন করেছি এবং সে পাশ করেছি। এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার যে বিধিবিধান রয়েছে, তা কখনই পালন হতো না। আমরা সেটাও এবার চালু করেছি। আমরা ভোটার লিস্ট অনেকটা আধুনিকায়ন করেছি। কিছু অসাংবাদিকও এখানে সদস্য রয়েছে, সেগুলো মুক্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা পদক্ষেপও নিয়েছি, তবে পুরোপুরি সফল হয়েছিল সেটা আমরা বলবো না।

দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয় হলে কি কি কাজ করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে আসলে সাংবাদিক ইউনিয়নকে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ করে এর সুনাম, ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর করা হয়েছে, এটা মালিকরা মানছে না। আমরাও মেনে নিতে পারছি না। আমাদের গ্র্যাচুইটি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা সংশোধনসহ অবিলম্বে নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নিব। বিগত মেয়াদে করোনার কারণে এ বিষয়ে জোড়ালো দাবি ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় নাই।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরে কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নানা মতবাদ চলছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে নানা রকম বাদ-প্রতিবাদ হচ্ছে। গণমাধ্যম পেশার বাহিরে আইন যেভাবে আসে সেভাবে থাকুক বা না থাকুক। তা নিয়ে আমাদের কোনো কথা নেই। গণমাধ্যম পেশায় যারা কাজ করেন তাদের লিখতে হয়, কথা বলতে হয়। একজন দায়িত্ববান এডিটর এগুলো দেখে প্রচার করেন। এ জায়গায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বলেন বা ধারা বলেন এগুলো আমরা বিলোপ চাইছি। সরকারও আশ্বাস দিয়েছেন অচিরেই এগুলো সংশোধন করবেন। আমরা সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চাচ্ছি। সুরক্ষা বলতে গেলে নানান রকমের সুরক্ষা আছে। একটা হচ্ছে আমাদের আইনগত সুরক্ষা, একটা হচ্ছে আমাদের সামাজিক সুরক্ষা। একটা হচ্ছে আমাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা। আরকেটা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক বিধিবিধানে আমরা কতটুকু স্বাধীনতা পেতে পারি বা পেতে পারি না সে সুরক্ষা। সব মিলিয়ে আমরা কি কি করতে পারি কি কি করতে পারি না, সেটুকু সুরক্ষা দরকার।
সাংবাদিক সমাজকে রক্ষা করার জন্য আমরা সুরক্ষা আইনের দাবি করছি। একই সঙ্গে আমাদের একটা স্বাস্থ্য বীমা দরকার। সদস্যদের মধ্যে আরও যাচাই-বাছাই করে যারা পেশাদার যে-যেখানেই থাকুক তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। সাংবাদিকদের ঐক্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো।

নির্বাচনে বিজয়ে কতটুকু আশাবাদী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। কে জয় হবেন, কে পরাজয় হবেন, সেটা বড় কথা নয়। সাংবাদিকদের দাবি আদায়ে, সাংবাদিকদের সমস্যা সমাধানে যে কোনো পদক্ষেপ আমি সামিল থাকবো। কারণ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন কোনো ক্লাব নয়, এটা হচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা রক্ষার ইউনিয়ন। ইউনিয়নের কাজ হচ্ছে সরকারের সঙ্গে, মালিকদের সঙ্গে এবং সমাজের সঙ্গে বার্গেটিং করে এ পেশার মর্যাদা রক্ষা করা। পেশার সমস্যার সমাধান করা। আমরা জানি ট্রেড ইউনিয়ন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নয়। নিজদের অর্থনৈতিক দাবিদাওয়া, সামাজিক দাবিদাওয়া মর্যাদা রক্ষা করা। আমরা সে চেষ্টা অব্যাহত রাখবো, বিজয় হলেও না হলেও।

নির্বাচনে বিজয়ী হলে কি কি কাজ করবেন? জানতে চাইলে সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইনের সংশোধন করাটা খুবই জরুরি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি গণমাধ্যম কর্মী আইন যেটা হতে সেখানে আমাদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার থাকবে না। গ্র্যাচুইটি সুবিধা কমে আসবে। এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আমাদের আন্দোলন সংগ্রামটা জরুরি। একই সঙ্গে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্টদের সাংবাদিকদের মর্যাদা থেকে ছুড়ে ফেলার কথা গণমাধ্যমকর্মী আইনে বলা হয়েছে। এ রকম অনেক অসংগতি রয়েছে। এ অংগতিগুলো বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে সংযুক্ত। গণমাধ্যম কর্মী আইনটাকে সংবাদিক বান্ধব করতে চাই। এটা যাতে সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক আইন হয়। আগামী নেতৃত্বের জন্য সেটার নিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করাটা জরুরি।

সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে কি কি কাজ করেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতবার যে সময় দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ৭ই মার্চ। ৮ই মার্চে বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তারপরের বিষয় আপনারা সবাই জানেন, পরবর্তীতে লকডাউন, নিরবিচ্ছিন্ন ছুটি-ছাঁটাই চলে। আমরা প্রথমবারের মত করোনার সময়ে সাংবাদিকদের পাশে দাড়ানোর জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে আবেদন নিয়ে গিয়েছিলম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। তথ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলম। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বের দাবির প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেককেই করোনার সময়ে সহায়তা দেয়া হয়েছে। করোনার সময়ে সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের যে অপতৎপরতা হয়েছিলো, সেটির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। করোনার মধ্যে বেতন-ভাতা বকেয়া রাখার বিষয়ে ঈদের দিনও আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, আন্দোলনের মুখে সেগুলো চালু করেছি। সেখানে ছাঁটাই হয়েছিলো, সেখানে পাওনা আদায়েও বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছি। দুই বছরের কর্মকাণ্ড এজিএমে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। সেটি আমাদের সাধারণ সদস্যরা অবহিত হয়েছে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে কখনও আপোস করি নাই। আপোস করবো না। গণমাধ্যমকর্মী আইন সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের নীতিমালা প্রণয়ন, বেতন কাঠামো তৈরি ও সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করবো এ ছাড়া ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনায় সাংবাদিকদের সব সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী।

এ দিকে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন ছেয়ে গেছে প্রেসক্লাব ও আশপাশ এলাকা। ২৯ মার্চ ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। যতই দিন গড়াচ্ছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে প্রার্থীদের। ২১ টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে তিনটি প্যানেলের দুটিতে ৪২ আর একটিতে ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্যানেলের বাহিরে রয়েছে ১০ জন প্রার্থী। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের মোট ভোটার হচ্ছেন ২৯৬৮ জন সাংবাদিক। ২ বছর অন্তর নির্বাচন হয় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ