• আজ বিকাল ৩:৫১, শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ : ডা. শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, জুন ৩, ২০২২ ২:২২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, জুন ৩, ২০২২ ২:২২ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির এক ক্রান্তিকালে ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি এদেশের মুক্তিকামী জনতাকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সমুজ্জল নাম। আওয়ামী লীগ যতই ইতিহাস বিকৃত করুক না কেনো, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি তত জনপ্রিয় আর একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী বীর হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্ভৌমত্ব যতদিন থাকবে, এদেশের আকাঁশে যতদিন লাল সবুজের পতাকা উড়বে, ততদিন জিয়াউর রহমান থাকবেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

আজ শুক্রবার (৩ জুন) বাদ জুমা নগরীর চকবাজার ধুনির পুলস্থ ফালাহ গাজী জামে মসজিদে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চকবাজার থানা যুবদলের দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জিয়াউর রহমান বহুবিধ সাফল্যের অধিকারী। তিনি স্বল্প সময়ের শাসনামলে নানা সঙ্কটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির এক বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতা শহীদ জিয়ার অন্যতম অবদান।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম মুছে ফেলার জন্য ইতিমধ্যে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এ চট্টগ্রামের মাটিতে জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেছেন, এখানে মিশে আছে শহীদ জিয়ার রক্ত। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে চট্টগ্রামবাসী তারঁ দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে তিনি বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করেছেন। বর্তমান সরকার সে ইতিহাস বিকৃত করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করছেন। জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। তাই তারা বিএনপি’র নামে কুৎসা রটিয়ে জনবিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ এখন তাদের এসব মিথ্যা ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মহানগর বিএনপি নেতা ইব্রাহিম বাচ্চু, সৈয়দ আমিন মাহমুদ, আরিফ মেহেদী, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দিন, এড. সৈয়দুল আমিন, সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, যুগ্ম সম্পাদক ও চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সহ সম্পাদকবৃন্দ মো. কামাল উদ্দিন, ইদ্রিস সবুজ, মো. সালাউদ্দীন, জিয়াউল হক মিন্টু, আলিফ উদ্দিন রুবেল, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মো. সেলিম, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, সি. যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকিম মাহমুদ, সদস্য সচিব হাজী মো. মুছা, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, সি. যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল, মহানগর সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, আমিন উল্লাহ, সাইফুল্লাহ ইসলাম, মো. মিজান, আবুল হোসেন প্
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম
বলেছেন, ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোন মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছেন না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। শ্রমজীবি মানুষ আজ পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। জনগণের কোন মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে নেই, কারণ তারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে। যদি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, তাহলে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, মাঠে জীবনের ঝূকি নিয়ে থাকতে হবে। তার আগে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি আদায় করতে হবে। আমাদের সরকার লাগবে না, আমরা চাই নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা। নিরপেক্ষ সরকার আসলেই জনগণের মূল্যায়ন হবে, ভোটের অধিকার ফিরে আসবে।

আজ শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে নুর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায় সরকার দাবি যেন আদায় করতে না পারি তার জন্য আজকে মিথ্যা বানোয়াট একটি মামলায় আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ জানে, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে তাদের অন্যায় অত্যাচার ঠিকবে না। তিনি এত জনপ্রিয় নেত্রী, দেশের যে কোনো স্থান থেকে যখনই নির্বাচন করেছিলেন জয়ী হয়েছেন। খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে জোর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না, ভোট চুরি করতে পারবে না। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশে আসতে দিচ্ছে না। কারণ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে তারা ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, শোষণ মুক্ত, গণতন্ত্র ও শান্তির জন্য। আজকে স্বাধীনতার যে আকাঙক্ষা ছিল তা সম্পূর্ণ ভুলণ্ঠিত। আমাদের দলের নেতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি, ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সাথে আপোষ না করে আমরা বার বার গণতন্ত্র রক্ষা করেছি। এই নব্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে আবারো আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো এবং করতে হবে। তাই শ্রমিকদলকে ঐক্যবদ্ধ ধাকতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপিকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নাই।

আলোচনায় সভার প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই। তারা এখন আবোল-তাবোল বকছে। সারাদেশের মানুষ আজকে এই সরকারের পতনের আওয়াজ শোনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তালবাহানা বন্ধ করে অনতিলম্বে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার দাবি মেনে নিতে হবে। সরকারের সাথে বিএনপির কোনো আলোচনা আর হবে না, আলোচনা হবে তত্ত্ববাধয়ক সরকার নিয়ে। তার আগে আমাদের দেশনেত্রী গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সে বিষয়ে আলোচনা হবে। যদি আবারো ২০১৪-১৮ সালের মতো পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা করা হয় তাহলে তার দাতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আজ সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মীসভায় হামলা করছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংরা। প্রশাসনের ভাইয়েরা সেখানে নীরবতা পালন করছে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠান শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার প্রাক্কালে পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করেছে। এতে করে মাহবুবের রহমান শামীম, ডা. শাহাদাতসহ মহিলা দলের অনেক নেতাকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা বলতে চাই, এসব বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে এসব বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি আর হামলা চালানো হয় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নূর উল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল, উপদেষ্টা শামছুল আলম, সহ সভাপতি ইদ্রিস মিয়া, জেলা ও মহানগর অঞ্চল নেতৃবৃন্দ শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, শফিকুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আবদুল মোতালেব চৌধুরী, ডা. শফিকুল ইসলাম তরুন, আবু বক্কর সিদ্দিক, আবু জাফর, কুতুব উদ্দিন, মমতাজ মিয়া, মুজিবুর রহমান, আবদুল মান্নান, ইব্রাহিম ফরাজী, আবদুল বাতেন, জসিম মিয়া, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সালে আহম্মদ, অপু সিংহ, নর্গিস আলম, লকি আক্তার, কামরুন নাহার প্রমূখ।

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ