জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের জন্য ষড়যন্ত্রকারী ১/১১-এর সৃষ্টি করছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, মার্চ ৮, ২০২২ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, মার্চ ৮, ২০২২ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
লন্ডন প্রতিনিধি
তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ১৬ তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র উদ্যোগে গতকাল ৭ মার্চ পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরুর পরিচালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, তাজুল ইসলাম, সলিসিটর একরামুল হক মজুমদার, কাজী ইকবাল হোসেন দেলোয়ার, আবেদ রাজা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, মিসবাহুজ্জামান সোহেল, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, মুজিবুর রহমান (দপ্তরের দায়িত্বে) সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুন ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ওয়ান ইলিভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে কারাবন্ধী করে রেখেছিল। বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদের শক্তিকে ধ্বংস করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করছে সরকার। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার জন্যই দেশনেত্রী মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের উদ্দেশে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ওয়ান ইলিভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে কারাবন্দী করে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় ।১/১১-এর ষড়যন্ত্রকারী ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের উদ্দেশ্য ছিলো তারেক রহমানকে মেরে ফেলা। সে সময় তাকে চাপে রাখতে মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভাই আরাফাত রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো কিন্তু তারেক রহমান মায়ের মতোই দেশ ছাড়তে রাজি না হওয়ায় ওয়ান ইলিভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র পর্যন্ত করেছিল।
বক্তারা বলেন, ওয়ান ইলিভেনের সময় থেকে শহীদ জিয়া ও বিএনপি পরিবারকে ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা আজও অব্যাহত আছে। অবৈধ সরকার দুর্নীতি, কমিশন বাণিজ্য ও দেশের সকল ব্যাংক ডাকাতি করে দেশে বিদেশে লবিস্ট ও এজেন্টের নিয়োগের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে । কিন্তু জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক জনতা এই ষড়যন্ত্র কোনদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
বক্তারা বলেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। আজ তার বাকস্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এখনও মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের মাধ্যমে তৃণমূলের বলিষ্ঠ সংগঠক তারেক রহমানকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু সেদিন বেশি দূরে নয়, রাজনীতির আকাশে সব কালোমেঘ দূর করে তারেক রহমান ফিরে যাবেন জনতার মাঝে। কারণ তার হাতেই নিরাপদ আগামি দিনের বাংলাদেশ।
আজকের এই দিনে সকলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশনেত্রী মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিশিরাতের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করতে দলের সকল স্থরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। আজ সমগ্র দেশবাসীকে গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ নিতে হবে ।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আহমেদ, সালেহ আহমেদ জিলান, বাবুল আহমেদ চৌধুরী, সেলিম আহমেদ(সহদপ্তর), কোষাধক্ষ্য সালেহ আহমেদ, কেন্দ্রীয় জাসাসের সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন,যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, ইস্ট লন্ডন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এস এম লিটন, যুক্তরাজ্য বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কামাল মিয়া, সহ কোষাধক্ষ্য তোফাজ্জল হোসেন, সদস্য শিশু মিয়া, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল হক রাজ, যুগ্ম সম্পাদক বাবর চৌধুরী, মোহাম্মদ ইমরানুল হক, জাহাঙ্গীর আলম জনি,অভি রহমান, মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিম উদ্দিন।