জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাজ করে যাব : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩১, ২০২২ ৪:৫৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩১, ২০২২ ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
দেশের মানুষকে নিজের পরিবার আখ্যা দিয়ে তাদের জন্য জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘তারাই আমার আপনজন, তারই আমার পরিবার। তারাই আমার সব। আপনাদের জন্যই হারানো বাবা-মার ভালোবাসা ফিরে পিয়েছি। যত বাধাই আসুক মানুষের ভাগ্য পরির্তনে কাজ করে যাব।’
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে দেশের বিশেষ কয়েকটি স্থানে উদযাপনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় পর্যটন নগরীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই দেশ ছেড়ে যাই, তেজগাঁও থেকে প্লেনে উঠি। তখন কামাল, জামাল, তাদের নবপরিণীতা সবাই ছিল। ফিরে এসে কাউকে পাইনি। পেয়েছি লাখো মানুষ, যারা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে গিয়েছিল।
দেশের সকল জনগণই নিজের পরিবার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারাই আমার আপনজন, তারই আমার পরিবার। তারাই আমার সব। আপনাদের জন্যই হারানো বাবা-মার ভালোবাসা ফিরে পিয়েছি। যত বাধাই আসুক মানুষের ভাগ্য পরির্তনে কাজ করে যাব। যতক্ষণ শ্বাস আছে আপনাদের উন্নয়নে কাজ করে যাব।’
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সন্তান হিসেবে খুব অল্প সময় তাকে পেয়েছি। ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন- বাংলাদেশের মানুষকেই তিনি সবচেয়ে ভালোবাসেন।
‘যে মানুষগুলোকে তিনি এত ভালোবাসতেন তাদের ভাগ্য পরিবর্তনই আমার লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষ যখন ভালো থাকে, তাদের মুখে যখন হাসি ফোটে, এর চেয়ে বড় পাওয়া তো আমার কাছে নেই। বার বার বাধা এসেছে। কিন্তু পিছিয়ে যাইনি। চেষ্টা করেছি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। ঠিক যেভাবে বাবার কাছে বর্ণনা শুনতাম, ঠিক সেই কাজগুলো করে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। তারই শুভ ফল দেশের মানুষ আজ পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না বলেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন শুধু এক জায়গায় নয়; সারা দেশেই উন্নয়ন করছি। মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার থেকে মিরেরসরাই পর্যন্ত আমরা করব।
‘এভাবে পুরো কক্সবাজারের উন্নয়ন আমরা করব। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এখানে যাতে হতে পারে সে ব্যবস্থা করব। কক্সবাজারকে ঘিরে উন্নয়ন আরো গতিশীল হবে।’
কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরই শুধু হচ্ছে না, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও যাতে এখানে সরাসরি ফ্লাইট আসে সে ব্যবস্থা করা হবে। এটা হবে দেশের সবচেয়ে সুন্দর বিমানবন্দর।
কীভাবে বিমানবন্দর গড়বেন উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের যে ভৌগোলিক অবস্থান তার ওপরই আন্তর্জাতিক বিমানের রুট। এটি হবে প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের সংযোগ। বিমানগুলো এখানে রিফুয়েলিং করে যাবে- এভাবেই বিমানবন্দরটা গড়তে চাই।’