• আজ রাত ১:৫২, শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

টার্গেট মার্কেট কিভাবে আইডেন্টিফিকেশন বা নির্বাচন করবেন ?

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪ ৪:১১ অপরাহ্ণ

 

টার্গেট মার্কেট আইডেন্টিফিকেশন বা নির্বাচন জন্য আপনাকে গ্রাহকদের ডেটা সংগ্রহ করতে হব। আপনার ব্র্যান্ড যাদের উদ্দেশ্যে পণ্য তৈরি করে বা করবে, তারাই আপনার টার্গেট মার্কেট । আপনার পণ্যের সুবিধাগুলি জানতে হবে এবং কম্পিটিটর অ্যানালিসিস করতে হবে। সবশেষে, একটি টার্গেট মার্কেট স্টেটমেন্ট তৈরি করে টার্গেট মার্কেট নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হবে।

টার্গেট মার্কেট কী?

টার্গেট মার্কেট হলো একটি নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠী, যাদের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যবসা বা ব্র্যান্ড তাদের পণ্য বা সেবা তৈরি করে এবং প্রচার করে। এই গোষ্ঠীর সদস্যদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, চাহিদা, এবং আগ্রহ থাকে। যা তাদেরকে সেই পণ্য বা সেবার জন্য সম্ভাব্য ক্রেতা করে তোলে। টার্গেট মার্কেট নির্বাচন করা ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হয়। ক্রেতাদের নির্দিষ্ট কোনো বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করেই টার্গেট মার্কেট সেট করা হয়, যেমন – বয়স, আয়, লাইফস্টাইল ইত্যাদি।

টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ/আইডেন্টিফিকেশন

টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ করার জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে:

১. মার্কেট রিসার্চ করুন

  • মার্কেট এনালাইসিস: বাজারের চাহিদা, প্রবণতা, এবং কম্পিটিটর অ্যানালিসিস করুন।
  • কাস্টমার রিসার্চ: সম্ভাব্য গ্রাহকদের চাহিদা, পছন্দ এবং আচরণ বুঝতে কাস্টমার সার্ভে এবং ফোকাস গ্রুপ ব্যবহার করুন।

২. গ্রাহকদের ভাগ/ সেগমেন্টেশন করুন

  • ডেমোগ্রাফিক সেগমেন্টেশন: এই ধরণের টার্গেট মার্কেট সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে সেট করা হয়। যেমন – বয়স, লিঙ্গ, আয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ইত্যাদি। বয়স, লিঙ্গ, আয়, শিক্ষা ইত্যাদি বিবেচনায় গ্রাহকদের ভাগ করুন। আবার কোনো ডেমোগ্রাফিক গ্রুপের ক্রয়ক্ষমতা ও ক্রয়ের অভ্যাসের উপর নির্ভর করে কোম্পানি উক্ত গ্রুপের ছোট একটি অংশকেও টার্গেট করতে পারে। আবার কোনো ডেমোগ্রাফিক গ্রুপের ক্রয়ক্ষমতা ও ক্রয়ের অভ্যাসের উপর নির্ভর করে কোম্পানি উক্ত গ্রুপের ছোট একটি অংশকেও টার্গেট করতে পারে।
  • জিওগ্রাফিক সেগমেন্টেশন: জিওগ্রাফিক টার্গেট হলো একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকার গ্রাহকদের লক্ষ্য করে মার্কেটিং কৌশল তৈরি করা। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঞ্চল, দেশ, শহর, বা এলাকার লোকজনকে লক্ষ্য করে পণ্য বা সেবা প্রস্তাব করা হয়।

জিওগ্রাফিক টার্গেটিংয়ের উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় বাজারের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হওয়া। এটি বিভিন্ন ভৌগলিক এলাকার মানুষের আচরণ, পছন্দ, এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করে।

  • সাইকোগ্রাফিক সেগমেন্টেশন: সাইকোগ্রাফিক সেগমেন্টেশনের টার্গেট হলো গ্রাহকদের লাইফস্টাইল, মূল্যবোধ, এবং ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে এবং আগ্রহের ভিত্তিতে বিভাজন করে তাদের লক্ষ্য করা।
  • বিহেভিয়োরাল সেগমেন্টেশন: বিহেভিয়োরাল সেগমেন্টেশন হলো গ্রাহকদের আচরণ, ব্যবহার, এবং তাদের পণ্য বা সেবার সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে সেগমেন্ট বা বিভাজন করা। এই সেগমেন্টেশন প্রক্রিয়াটি গ্রাহকদের ক্রয় আচরণ, পণ্য ব্যবহার, ব্র্যান্ড আনুগত্য, এবং অন্যান্য আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়।

এই ধরণের টার্গেট মার্কেট বিভিন্ন কনজ্যুমার বিহেভিয়রের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়, যেমন – পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্য, পণ্যের প্রতি আশা, ব্র্যান্ডের প্রতি লয়ালটি ইত্যদি।

আপনি যদি একজন ভালো মার্কেটিয়ার হতে চান তবে আপনাকে এটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে । কোম্পানির উদ্দেশ্য ও মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির উপর নির্ভর করে একটি কোম্পানি চাইলে একাধিক টার্গেট মার্কেটকে উদ্দেশ্য করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তৈরি করতে পারে। ৬০% মার্কেটিয়ারদের মতে টার্গেটেড অ্যাডভার্টাইজিং হবে আগামী ৫ বছরের ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং কৌশোল।

৩. সেগমেন্ট মূল্যায়ন করুন

  • মার্কেট সাইজ: প্রতিটি সেগমেন্টের আকার ও সম্ভাব্য বিক্রয় মূল্যায়ন করুন।
  • গ্রোথ পটেনশিয়াল: সেগমেন্টের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের সম্ভাবনা নির্ধারণ করুন।
  • প্রতিযোগিতা: প্রতিটি সেগমেন্টে প্রতিযোগিতার মাত্রা মূল্যায়ন করুন।
  • সেগমেন্ট অ্যাক্সেসিবিলিটি: সেগমেন্টে পৌঁছানো কতটা সহজ বা কঠিন হবে তা নির্ধারণ করুন।

৪. টার্গেট মার্কেট নির্বাচন করুন

  • প্রফিটেবিলিটি: সেগমেন্টের লাভজনকতা মূল্যায়ন করুন।
  • স্ট্র্যাটেজিক ফিট: সেগমেন্টটি আপনার ব্যবসার স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্যগুলোর সাথে মানানসই কিনা তা বিবেচনা করুন।
  • রিসোর্সেস: আপনার ব্যবসার সেগমেন্টে প্রবেশ এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স আছে কিনা তা মূল্যায়ন করুন।

৫. পজিশনিং এবং মার্কেটিং মিক্স ডেভেলপ করুন

  • পজিশনিং স্ট্র্যাটেজি: টার্গেট মার্কেটে আপনার পণ্য বা সেবাকে কিভাবে পজিশন করবেন তা নির্ধারণ করুন।
  • মার্কেটিং মিক্স: পণ্য, মূল্য, স্থান, এবং প্রমোশন (4Ps) এর মাধ্যমে আপনার টার্গেট মার্কেটের জন্য উপযুক্ত মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুন।

৬. কার্যকরী পরিকল্পনা করুন

  • মার্কেটিং পরিকল্পনা: একটি সুস্পষ্ট এবং বাস্তবায়নযোগ্য মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করুন যা টার্গেট মার্কেটের সাথে মানানসই হবে।
  • মনিটরিং এবং এভালুয়েশন: আপনার স্ট্র্যাটেজির কার্যকারিতা নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করুন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী করুন।

যেকোনো নতুন পণ্য তৈরি ও রিফাইন ক্ষেত্রে টার্গেট মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একইভাবে, প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম নির্ধারণের জন্যও টার্গেট মার্কেট নির্বাচন করা অত্যাবশ্যক।টার্গেট মার্কেট নির্বাচন করুন গ্রাহক ডেটা ও কম্পিটিটর অ্যানালিসিস করে। সঠিক কৌশলে কার্যক্রমের দক্ষতা ও বিশ্বস্ত গ্রাহক ভিত্তি গড়ে তুলুন।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!