“ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন এবং ইউরোপের নেতাদের হিসাব-নিকাশ”
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৮, ২০২৪ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরেছেন, যা বিশ্বে মার্কিন প্রভাবের নতুন দিক উন্মোচন করবে। “ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন এবং ইউরোপের নেতাদের হিসাব-নিকাশ”
এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের নেতারা নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কিভাবে তাদের উপর প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
নেতারা এখন বিভিন্ন দিক থেকে হিসাব-নিকাশ করছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন থাকবে এবং ইউরোপে কী পরিবর্তন আসবে।
“ট্রাম্পের বিজয়ের পর হাঙ্গেরিতে ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্য গড়তে আলোচনা”
ট্রাম্পের বিজয়ের পর, হাঙ্গেরিতে ৫০ ইউরোপীয় নেতা একটি শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়ে ট্রান্স আটলান্টিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন।
সম্মেলনে ট্রাম্পের আগের প্রশাসনের সঙ্গে কোনো সংকট সৃষ্টি না হওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আশায় আলোচনা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে নতুন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে চান।
ট্রাম্পের আগের প্রশাসনে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “আমি ট্রাম্পের সঙ্গে চার বছর ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিলাম। তিনি স্পষ্টবাদী, যা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করবে।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করার জন্য রুটে মনে করেন, সব দেশকে এক অবস্থানে আসা সম্ভব এবং এটি অর্জনযোগ্য।
সমাবেশে রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব আটলান্টিক অঞ্চলে ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে।
রুটে বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সহায়তা করেছে এবং রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
এটি শুধু ন্যাটোর ইউরোপীয় অংশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও এক বড় ধরনের হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। “ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন এবং ইউরোপের নেতাদের হিসাব-নিকাশ”
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইউরোপীয় মিত্রদের পরামর্শ দেন, যাতে তারা সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল না থাকে।
ন্যাশনাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল ট্রাম্পের প্রস্তাবটিকে যুক্তিযুক্ত মনে করেন, সামরিক খাতে ব্যয়ের ব্যাপারে।
“ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের প্রস্তাব: ইউরোপীয় নেতাদের উদ্বেগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা”
ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চাইছেন, যার মানে রাশিয়াকে ইউক্রেনের দখলীয় অঞ্চল ছাড় দিতে বলবেন।
এই প্রস্তাব ইউরোপের জন্য উদ্বেগের কারণ, কারণ এতে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ এবং পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।
সম্মেলনের আয়োজক হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ট্রাম্পের ভক্ত। তিনি ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
ভিক্টর অরবান ইউরোপের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন, এছাড়া কট্টর ডানপন্থী ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি প্রশংসা করেছেন।
ইউরোপীয় নেতারা মনে করছেন, ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ, অভিবাসন নীতি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা ইস্যুতে প্রভাব ফেলবে।
Source: আইরিশ এক্সামিনার
Image Source: https://www.bangla.24livenewspaper.com