ডাকাত সরকারের আমলে কি মাঠ সমান থাকবে? : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বিরোধীদলকে মাঠ ধরে রাখতে হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ইয়াকুবের বেটা বেকুব এই সিইসি। বিরোধীদলকে উস্কানি দিচ্ছেন যে তোমরাও সন্ত্রাস করো’।
তিনি সিইসির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিরোধী দল মাঠ ধরে রাখার কে? মাঠ তো সমান থাকবে, স্বচ্ছ থাকবে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকার এবং তার নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু এই লুটেরা, ডাকাত সরকারের আমলে কি মাঠ সমান থাকবে? সেটা কি আপনি জানেন না?
সোমবার (৭ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
এখন কাব্যের মধ্যে আছে কুঁড়ে ঘরের কথা গতকাল দেয়া তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এটা তো আপনি বলবেন কারণ আপনি তো বিনা ভোটের মন্ত্রী। মানুষের দারিদ্রতা নিয়ে উপহাস করেছেন। আপনি তো গ্রামে যান না, হাটবাজারে যান না, রেললাইনের ধারে যান না, আপনি প্লেনে-প্লেনে উড়ে বেড়ান, দামি গাড়িতে করে বাড়ি যান। কড়াইল বস্তিতে তারা বানু কিভাবে জীবন যাপন করছে সেটি আপনার চোখে পড়ে না তথ্যমন্ত্রী?আপনি (তথ্যমন্ত্রী) মানুষের দারিদ্রতা নিয়ে উপহাস করছেন।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আপনি ফ্লাইওভার দেখান আপনি উড়াল সেতু দেখান দেখান, আপনি মেট্রোরেল দেখান, এটাতেও অতীতেও স্বৈরশাসকরা দেখিয়েছেন। এটা মিশরও দেখিয়েছে। তারপর কি দেখলাম নিরন্ন মানুষ যাদের জন্য হাসপাতাল নাই, স্কুল নাই। এইভাবে লুটপাটের রাজত্ব হয় স্বৈরশাসকদের আমলে। যেটার আমরা টোটাল প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি শেখ হাসিনার আমলে।
১/১১ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, জুন মাসে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন। আমি ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) কে টেলিফোন করলাম। ম্যাডাম আমি কি স্টেটমেন্ট দিবো? তিনি বললেন, দিতে পারো, অবশ্যই দাও। তারপরে আমি দিলাম। পরে দেখি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হান্নান শাহ তারাও স্টেটমেন্ট দিলেন। অথচ আওয়ামী লীগের লোকেরাও তখন স্টেটমেন্ট দেয়নি শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য। আর শেখ হাসিনা তার প্রতিদান দিয়েছেন দেশের একজন অবিসংবাদিত নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে। আজও তিনি মুক্ত নন। এখন তিনি নানাভাবে খালেদা খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করছেন। এটাই হচ্ছে পার্থক্য।
বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দীন স্বপন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসান,ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।