ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আতঙ্কে
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, জুন ৪, ২০২২ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, জুন ৪, ২০২২ ৮:০২ অপরাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলম মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে।
মানসুরা আলম বলেন, আমি এখনো ভীত। এবং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। মামলার প্রায় এক সপ্তাহ হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামিরা সবাই খুব স্বাভাবিকভাবে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘোরাফেরা করছে। তারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। ম্যাসেঞ্জারে হুমকিমূলক বার্তা দিচ্ছে। বিভিন্ন অশ্লীল কটূক্তি করছে আমাকে নিয়ে। এটা যদি বাড়তে থাকে তাহলে শিগগিরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলার প্রস্তুতি নেবো।
তারা অনেকেই হুমকি দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত শাহবাগ থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমাদের বিরুদ্ধে যখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মামলা করেন এরপর থেকেই আমাদেরকে সতর্কতামূলক অবস্থানে থাকতে হয়। আমাদের গ্রেপ্তারে পুলিশসহ রাষ্ট্রের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সব ধরনের সংস্থা তৎপর থাকে। তখন আমাদেরকে অনেকটা আড়ালে থাকতে হয়। বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়। স্বাভাবিক কোনো কাজকর্ম করতে পারি না। ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হচ্ছে না। প্রশাসন আমাকে সেই নিরাপত্তাটা দিচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবে আমি ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে পারছি না।
এর আগে গত ২৪ এবং ২৫শে মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদল। গত ২৮শে মে শনিবার ছাত্রদলের ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন ছাত্রলীগের শহীদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এদিকে ঢাকা বিশ্ব?বিদ্যাল?য়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারকে প্রধান আসামি করে চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে এ মামলা করেন ছাত্রদল নেত্রী। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত শাহবাগ থানাকে আগামী ২৬শে জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং প্রমাণ পেলে অবশ্যই আসামিরা যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবে। তিনটি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মওদূত হাওলাদার বলেন, আদালতের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার আমাদের কাছে তদন্তের আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র আসে। ঢাবি কর্তৃপক্ষের করা মামলার ঘটনায় প্রথমে চারজনকে গ্রেপ্তার শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আর নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বলেন, ছাত্রদল নেত্রীর করা মামলাটির বিষয়ে আদালত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশনা নেই। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন প্রদান করবো।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
