• আজ সকাল ৮:০৬, সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

‘ইজতেমার নিয়ন্ত্রণ’ নাকি ‘সাদ কান্দালভি’- তাবলীগ সংকটের কারণ আসলে কী

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪ ১০:৪৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪ ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

তাবলীগ জামাতের সংকট নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, ইজতেমার নিয়ন্ত্রণ এবং সাদ কান্দালভির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক।
 

ঢাকার কাছে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা এবং কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি থাকা তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ আপাতত সংঘাত এড়াতে ‘সংযত’ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি তাদের অনড় অবস্থান ও পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় সংঘাত ও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তাবলীগ জামাতের সংকট

কাকরাইল মসজিদ থেকে ‘সাদপন্থীদের সরিয়ে দেয়া’ এবং ‘তাদের ইজতেমা করার অনুমতি না দেয়ার’ ঘোষণা দেয়া পক্ষ এখন বলছে,

তারা পূর্বের সমঝোতা অনুযায়ী চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর ফলে কাকরাইল মসজিদ ভাগাভাগি করে ব্যবহার এবং দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে আগের সমঝোতা বজায় থাকবে, জানিয়েছে তারা বিবিসি বাংলাকে। এই দিকে তাবলীগ জামাতের সংকট।

“তাবলীগ সংকটে সমঝোতার পথে দুই পক্ষ: সাদ কান্দালভির ফিরে আসা নিয়ে সরকারী সহযোগিতা চাওয়ার কথা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের”

ভারতে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির একটি বক্তব্যের পর ২০১৭ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক তাবলীগ জামাতের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়।

এরপর থেকে বাংলাদেশে দুই গ্রুপ আলাদা হয়ে দুটি পর্বে ইজতেমা আয়োজন করছে এবং তাতে অংশগ্রহণ করছে।

এই বিরোধের কারণে ২০১৮ সাল থেকে মি. কান্দালভি ইজতেমায় আসতে পারছেন না।

বাংলাদেশে মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির অনুসারী নেতা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ইজতেমায় তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

এবারের ইজতেমায় সাদ কান্দালভিকে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাওয়ার পরিকল্পনার কথা তিনি বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তার মতে, সাদ কান্দালভি ‘নবী-রাসুলদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য’ করে ইজতেমায় আসার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

তাবলীগ জামাতের সাদবিরোধী অংশের নেতা মাওলানা জুবায়ের আহমেদের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মাহফুজ হান্নান জানিয়েছেন, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় কাকরাইল মসজিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের কথা বলেছিলেন।

তবে এখন তাদের সিদ্ধান্ত হলো, সরকারকে বিব্রত করার মতো কিছু করা হবে না।

এর ফলে আগের সমঝোতা অনুযায়ী কার্যক্রম চলবে, জানিয়েছেন তিনি বিবিসি বাংলাকে।

মাওলানা সাদকে দেশে আনার চেষ্টা এবং কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমায় তার অনুসারীদের সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখা যায়।

‘ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ’-এর নেতা শাহরিয়ার মাহমুদ এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ঢাকা অচল করার হুমকি দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, সাদ কান্দালভি এবং তার অনুসারীদের ইজতেমায় অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতার কারণে তিনি এমন হুমকি দেন।

এই পরিস্থিতি উত্তেজনা ও সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

তবে তিনি জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আগের সমঝোতা অনুযায়ী চলবেন।

“কথা ঘোরানোর জন্য হেফাজতকে টেনে আনা যাবে না। তাবলীগের চলমান সংকটের জন্য দায়ী সাদ কান্দালভি।

আমরা তাবলীগের এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় দেবো,” বিবিসি বাংলাকে এ কথা বলছিলেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!