তারেক রহমানকে নয় বিচারের কাঠগড়ায় শেখ হাসিনাকে দাঁড়াতে হবে : রাশেদ খান
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৩, ২০২২ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৩, ২০২২ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেয়া হয়েছে। যিনি অনেক দূরে থেকে গোটা জাতিকে সুসংগঠিত করেছেন। সেই নেতাকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাকে নয়, তারেক রহমানের সাথে তার সহধর্মিণী যিনি রাজনীতির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। তার নামেও মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মামলা দিয়েছেন। কেন দিয়েছেন সেটা তিনিই জানেন। তারেক রহমানকে গ্রেফতারী পরোয়ানার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জনগণের সম্পদের অব্যাবস্থাপনা, ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হরণ এর দায়ে প্রধানমন্ত্রীকে ১৮ কোটি জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এই মামলা চক্রান্তমূলক ও মিথ্যা। জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেয়ার মামলা। মসনদকে উল্টে পড়া থেকে শেষবারের মতো ধরে রাখার চক্রান্ত। কিন্তু এবার জনগণ চূড়ান্ত আঘাত হানবে। তারা আপনার সিংহাসন ধরে টান দিবে।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীর কাজির দেউরী থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দলীয় কার্যালয় য্ওায়ার পথে পুলিশ বাধা প্রধান করে। এ সময় নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের বাক বিতন্ড হয় এবং পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করে।পুলিশের হামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান সহ বেশ কয়েকজন নেতা আহত হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি কারণে সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এই লোডশেডিংকে মিউজিয়ামে পাঠিয়েছেন, জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। জনগণের প্রশ্ন জাদুঘর থেকে কিভাবে এই লোডশেডিং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লো। আজকে মানুষের জীবন দুর্বিষহ এই লোডশেডিংয়ের কারণে। আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাট এবং অর্থ পাচারের কারণে আজকে ডলার নেই। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রান্তে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধবগতির কারণে আজকে গরিব মানুষ খেতে পারছে না। মধ্যবিত্ত মানুষ দুর্বল হয়ে গিয়েছে। যারা ভোট চুরি করেছে তারা এই অর্থনীতিকে কোনদিন উদ্ধার করতে পারবে না। যে সরকার দেশের মানবাধিকার লংঘন করেছে তাদের দ্বারা মানবাধিকার রক্ষা হবে না। যারা লুটপাট করেছে তাদের দ্বারা এদেশের অর্থনীতি মেরামত করা সম্ভব নয়।
সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভয়ের একমাত্র কারণ তিনি দেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেই ভয় থেকেই সরকারের নির্দেশে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ায় জিয়াউর রহমান, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় করায় খালেদা জিয়া ও বিএনপিকেও ভয় পায় আওয়ামী লীগ সরকার। হামলা-মামলা ,জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন,সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, দেলোয়ার হোসেন বাবু, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মাহবুব খালেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, মোঃ নাছির উদ্দিন, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল , সাহিত্য সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নুর আলম, , কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সহ-প্রচার সম্পাদক জহির ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম , সহ-সাহিত্য সম্পাদক রাশেদ পাটোয়ারী, বাকের হোসেন, জাকির হোসেন মিশু, মো. পারভেজ, বায়েজিদ থানা আহবায়ক আলতাফ হোসেন,খুলশী থানা আহবায়ক রায়হান আলম, ডবলমুরিং থানা আহবায়ক আকতার হোসেন বাবলু, কোতোয়ালি থানা আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, চান্দগাঁও থানা আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, বাকলিয়া থানা আহবায়ক দুলাল মিয়া, ইপিজেড থানা আহবায়ক ইউসুফ সুমন, ডবলমুরিং থানা সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, বায়েজিদ থানা সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহির, সজল বড়ুয়া, হোসেন মোহাম্মদ মাসুম,কামাল হোসেন খোকন,মঞ্জুর আলম, আরিফুর রহমান হিরু, মো. ফিরোজ, আব্দুর রশিদ, নাজিম উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, সাইদ ইসলাম বাপ্পী, মো. সুমন, ইমন প্রমুখ।