দুবলার চরে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, নভেম্বর ৬, ২০২২ ৮:৩৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, নভেম্বর ৬, ২০২২ ৮:৩৬ অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের দুবলার চরে রবিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরে মন্দিরে সন্ধ্যা পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাস উৎসব। আগামী ৮ নভেম্বর ভোরে সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে পুণ্যস্নান ও রাস পূর্ণিমা পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী এই রাস উৎসব। তবে এবারও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থী ছাড়া ৬ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ দিন অন্যকোন ধর্মের লোকজনকে সুন্দরবনে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
২০১৯ সালের পর থেকে রাস উৎসবকে ঘিরে হচ্ছে না সুন্দরবনের দুবলার চরে রাসমেলা। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণের অর্ধলক্ষ মানুষ সুন্দরবনে দুবলার চরে এই রাস উৎসবে যোগ দিতেন। ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সুন্দরবনে রাস উৎসব হয়নি। আর করোনার কারণে ২০২০ সাল থেকে রাস উৎসবে কোনও মেলার আয়োজন করা হয়নি। এই চার বছর রাস পুণ্যস্নান ও রাস পূর্ণিমা পূজার সময়ে হিন্দু ধর্মালম্বী ছাড়া কাউকে সুন্দরবনে ঢুকতে অনুমতি দিচ্ছেনা বন বিভাগ। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, রাস পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতে তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এই পাঁচটি পথ দিয়েই তীর্থযাত্রীরা দুবলার চরে যাচ্ছেন। এসব পথে বন বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। দিনের বেলায় তীর্থযাত্রীদের নৌযানগুলো কেবল চলাচল করতে পারবে। বন বিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখে দেয়া হচ্ছে। সুন্দরবনে অবস্থানকালে তাদের অনুমতিপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র কাছে রাখতে হবে। রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নানের সময় কোনও বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন, মাইক বা সাউন্ডবক্স ব্যবহার বন্ধসহ হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটার কুড়াল, করাত বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।