• আজ রাত ৩:০৭, শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

দেশের প্রয়োজনে সেনাবাহিনী-পুলিশ একসাথে কাজ করার ঐতিহ্য রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, দেশের যে কোনো প্রয়োজন ও সংকটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, এভিয়েশন উইং চালুর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে। বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইং চালুর অনুমতি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে আর্মি এভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখছে‌। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাথে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ করে সেনাবাহিনীর পেশাগত সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে। আগামীতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে এবং সুসংহত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সোমবার (২১ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকী এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসপি’র নেতৃত্বে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সাথে তুলনা করে আইজিপি বলেন, অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার তাই করা হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের গ্রুপ ক্যাপ্টেন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহ, আন্তরিকতা নিয়ে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে। তারা যোগ্য পাইলট হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন বলে তিনি দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।

আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালনায় বর্তমানে বিভিন্ন বাহিনীর দশ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে চারজন বাংলাদেশ পুলিশের। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুলিশের প্রশিক্ষণার্থী এএসপি ফাতেমা তুজ জোহরা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশের চারজন প্রশিক্ষণার্থীই ইতোমধ্যে তাদের একক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তারা পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিআইজি (লজিস্টিকস) মোঃ তওফিক মাহবুব চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন সহকারী পুলিশ সুপার ফাতেমা তুজ জোহরা।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিগণ এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ের জন্য রাশিয়া থেকে দুটি আধুনিক হেলিকপ্টার ক্রয় বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!