দেশের মানুষ চেয়েছিল তাদের জন্য একটি দেশ, বাংলাদেশ : জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ২৬, ২০২২ ২:১৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ২৬, ২০২২ ২:১৬ অপরাহ্ণ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের
নানাভাবে দুর্নীতি-বঞ্চনা ও শোষণ- নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু দেশের মানুষ যে মুক্তিলাভের জন্য স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়েছিল, সে মুক্তি আজও মেলেনি। দেশের মানুষ চেয়েছিল বৈষম্য, বঞ্চনা থেকে মুক্তি। তারা চেয়েছিল শোষণমুক্ত একটি দেশ। তারা চেয়েছিল তাদের মালিকানা, তাদের জন্য একটি দেশ, বাংলাদেশ।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিএম কাদের বলেন, বৈষম্য, শোষণ আর বঞ্চনার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধেই প্রথমে স্বাধিকার তারপর স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর হলেও দেশের মানুষ বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পায়নি।
তিনি বলেন, আমরা ছিলাম শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। এখন বিশেষ করে ৯১-এর পর থেকে সরকার, সরকারি দলের মানুষও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলে সরকারি চাকরি মেলে না। সরকারি দলের জার্সি না পরলে ব্যবসা করা কঠিন। নানাভাবে দুর্নীতি, বঞ্চনা, শোষণ-নিপীড়নে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের মানুষেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যত বাধা আসুক আমরা জনগণের স্বার্থ রক্ষায় রাজপথে থাকবো। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, যে লক্ষ্যে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি তারাই এখন ব্যাংকের মালিক হচ্ছে, তারাই এখন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির মালিক। আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা শুধু ভাতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২২ পরিবারের বিপরীতে এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পাটির আহ্বায়ক শেরীফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, উপদেষ্টা- রওশন আরা মান্নান এমপি, ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, এম এ কুদ্দুস খান, হাজী আবু বকর, হেনা খান পন্নী, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, মাহবুবুর রহমান লিপটন, মমতাজ উদ্দিন, ভাইস-চেয়ারম্যান- শেখ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, সুলতান আহমেদ সেলিম, নূরুন্নাহার বেগম, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, তারেক এ আদেল, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী, ইকবাল হোসেন তাপস, মো. বেলাল হোসেন, আমির হোসেন ভূঁইয়া, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য- হুমায়ুন খান, মাহমুদা রহমান মুন্নি, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, কাজী আবুল খায়ের, হাজী মোহাম্মদ ফারুক, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান মিরু, গোলাম মোস্তফা, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, অ্যাডভোকেট খন্দকার ফায়কুজ্জামান ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদক- মো. হেলাল উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার গালিব, তিতাস মোস্তফা, জাকির হোসেন মৃধা, শরফুদ্দিন শিপু, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এসএম সোবহান, মামুনুর রহিম সুমন, মাশুকুর রহমান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, শাহজাহান কবির, শাহনাজ পারভীন, শহিদ হোসেন সেন্টু, দ্বিন ইসলাম শেখ, ড. মো. আবদুল্লাহ আল ফাত্তাহ প্রমুখ।