নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা কম, তবে আরও কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০২৪ ১০:২৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০২৪ ১০:২৭ অপরাহ্ণ
নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে একাধিক লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম। তবে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।
এ মাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে। কিছু অঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে।
ঘন কুয়াশা শীতের আগমনের লক্ষণ। এটি কৃষকদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হতে পারে।
আজ রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস প্রকাশিত হয়েছে। অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত কৃষি এবং পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নভেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে একাধিক লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
এই লঘুচাপগুলো দেশের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মাসের প্রথম ১৫ দিনে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম।
তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বর মাসে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা কমবে।সারা দেশে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে। নদী অববাহিকার অঞ্চলে কুয়াশার কারণে নৌযানে সমস্যা হতে পারে।
ওমর ফারুক আরও বলেন, ১২ নভেম্বরের পর শীতল আবহাওয়া অনুভূত হবে। এটি শীতের আগমনের লক্ষণ।
অক্টোবর মাসে দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রংপুর অঞ্চলে কম বৃষ্টি হলেও চট্টগ্রাম ও সিলেটের বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ২৪ অক্টোবর সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২৫ অক্টোবর রাতে এটি ভারতের উত্তর ওডিশা উপকূল অতিক্রম করে।
ঘূর্ণিঝড়টি দেশের আবহাওয়ার ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। ১৪ অক্টোবর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
মৌসুমি বায়ুর বিদায় শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসে। এটি কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪ অক্টোবর চাঁদপুরে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত আবহাওয়ার পরিবর্তনের উদাহরণ।
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কিছু এলাকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সব তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকদের সচেতন থাকতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং জলবায়ুর অবস্থার দিকে নজর রাখতে হবে।
সচেতনতার মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।
Image source: https://www.prothomalo.com