নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিরেকে কোন নির্বাচন হতে পারবে না-ড.আব্দুল মঈন খান
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২ ৩:২১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২ ৩:২১ অপরাহ্ণ
ইয়াসমিন আক্তার
বিশেষ প্রতিনিধি লন্ডন
𝐓𝐀𝐓𝐯’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনে সুষ্ঠ নির্বাচনের পূর্ব শর্ত -নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ক আলোচনা সভায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিরেকে কোন নির্বাচন হতে পারবে না ড.আব্দুল মঈন খান এ কথা বলেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী লন্ডন সময় দুপুর ০২টায় TATv’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছায়েফ আহমেদ সুইট এর পরিচালনায়
সুষ্ঠ নির্বাচনের পূর্ব শর্ত -নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ক আলোচনা সভার মাধ্যমে এই টিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পর্তুগাল বিএনপির অন্যতম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ খালেদ আহমদ মিনহাজ।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান।বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির সহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.আব্দুল মঈন খান বলেন,বর্তমান আওয়ামী সরকার একদলীয় শাসন অলিখিত বাকশাল কায়েম করে যাচ্ছে।
দুর্নীতির মাধ্যমে তারা দেশ চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির মাধ্যমে তারা প্রশাসনকে কুক্ষিগত করেছে,তারা পুলিশ বাহিনীকে কুক্ষিগত করেছে,তারা বিডিআরকে কুক্ষিগত করেছেন,
এবং একই সাথে বাংলাদেশের অনেক ইন্টেলেকচুয়ালদেরকে ও বিভিন্ন সুযোগ
-সুবিধার মাধ্যমে কুক্ষিগত করে নিয়েছে।
আজকের প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে,বর্তমান সরকার সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে বিগত ১৫ বসর ধরে ক্ষমতা দখল করে আছে,যেমনটি ছিলো ৭২ থেকে ৭৫ এর বাকশাল সরকার।যারা সরকারিভাবে সংসদ ভবনের ভিতরে ১১ মিনিটের বাকশাল কায়েম করে স্পষ্ট ভাষায় বলেই দিয়েছিল-যে “মানুষের কোন অধিকার নেই,অধিকার একটি মাত্র রাজনৈতিক দলের,
এবং তারা দেশের সকল সিদ্ধান্ত নেবে,দেশের
অর্থনীতিকে,দেশকে তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে।সেটি ছিল এক রকমের ব্যবস্থা,আজ তারা মুখে বলছে না,এর কার্যকরীতা প্রয়োগ করে দেখাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,”Protonation of democracy it’s worth than autocracy”,গণতন্ত্রের নামে সরকার মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে,গণতন্ত্রের হত্যা করে অটোক্রেসি করছেন।এই সরকার গণতন্ত্রের সরকার নয়,যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের উপস্থাপন করা দরকার।আওয়ামীলীগ সরকার সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে সরকারে এসে নুতুন পদ্ধতিতে নুতুন মোড়কে গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রে পরিণত করেছে।আমাদের এখানে এক দফা এক দাবি-একটি দেশের নিরপেক্ষ সরকারআমাদের এখানে এক দফা এক দাবি একটি দেশের নিরপেক্ষ সরকার,কারণ কোনো নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিরেকে এখানে কোনো সুষ্ট নির্বাচন হতে পারে না।
নুতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন বলেন,আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করছেন, সে স্বাধীনতার পক্ষে আওয়ামীলীগের কোনো অবদান ছিলো না।সত্যিকার সংগ্রামে যাদের নাম দেওয়া যায়, সংগ্রামের পলায়ন শক্তি,যারা পালিয়ে গিয়েছিল,এটাই ইতিহাসের সত্য যা নূতন প্রজন্মের কাছে দামা চাপা দিচ্ছে সরকার।মিথ্যা দিয়ে তারা নূতন করে ইতিহাস রচনা করছে।স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের কোনো বাস্তব ভূমিকা ছিল না।তারা পালিয়ে গিয়েছিল,সে সময়ে এ হাল ধরেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যিনি নিজের জীবনকে বিপন্ন করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনকে বিপন্ন করে,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের জীবনকে বিপন্ন করে
যিনি কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে দাড়িয়েছিলেন।বলেছিলেন,I, Major Ziaur Rahman,অন্য কেও সেদিন তা বলেনি অতএব বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরতন্ত্র কখনোই মেনে নেবে না।বাংলাদেশ স্বাধীনচেতা জাতি, বাংদেশের মানুষ বাক স্বাধীনতা চায়।অতএব আমার শেষ কথা-এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।আওয়ামীলীগ কোনোদিন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি,তাদের থেকে জনগণ কিছু আশা করতে পারে না।আওয়ামীলীগের রক্তের গনতন্র নেই, জোরপূর্বক নেতৃত্ব দখল করায় আওয়ামী লীগের নীতি।
অবশেষে বিএনপি’র প্রচার ও প্রসারের উপর গুরুত্ব বহনের জন্য বাইরের মিডিয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন বিএনপি এবং সকল বিষয় বাংলাদেশের আপামর জনগণের কাছে এই মিডিয়ার মাধ্যমে পৌঁছানো হচ্ছে বলে সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এবং বিশেষ করে TATv’র আলোচলার প্রশংসা করে তিনি
TATv ও TATv’র সমস্ত কলাকুশলীদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের মর্মকথা জানাতে বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় অন্যানের মধ্য সংযুক্ত ছিলেন নেদারল্যান্ড বিএনপির সভাপতি শরীফ উদ্দিন,আয়ারল্যান্ড বিএনপির সভাপতি হামিদুল নাসির,ফিনল্যান্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল হাসান জনি,জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া।গ্রীস বিএনপির সভাপতি জি এম মোকলেসুর রহমান,ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের,
পর্তুগাল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার,গ্রীস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দীন ঠাকুর,যুক্তরাজ্য মহিলা দল এর সভাপতি ফেরদৌস রহমান,জিয়াটিভি সিএম টিভির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাকের মাহমুদ,কানাডা মহিলা দল এর সভাপতি নাজমা হক,যুক্তরাজ্য মহিলা দল এর সদস্য সচিব অঞ্জনা আলম।যুক্তরাজ্য প্রচার দলের সভাপতি আব্দুস সামাদ প্রমুখ।