• আজ বিকাল ৫:৩৪, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

নির্বাচনকালীন সিইসিকে ‘সুপার প্রাইম মিনিস্টার’ ভূমিকায় চায় এনডিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, জুলাই ১৭, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, জুলাই ১৭, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

সরকারি দলের প্রার্থীর এজেন্ট ব্যতীত অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে না বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। এ অবস্থায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি। একইসঙ্গে নির্বাচনকালীন সিইসিকে ‘সুপার প্রাইম মিনিস্টার’ ভূমিকায় চায় দলটি।

রোববার (১৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এই দাবি জানায় দলটি। বৈঠকে অংশ নিতে সকাল সাড়ে দশটায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আসেন দলটির প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। অন্যদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার কমিশনার ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পোলিং এজেন্ট ব্যবস্থা বাতিল প্রসঙ্গে ববি হাজ্জাজ বলেন, বিগত কয়েকটি নির্বাচনে আমরা দেখেছি সরকারি দল ব্যতীত অন্য দলের এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনে এই বিষয়ে প্রায় প্রতিটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের প্রস্তাবনা- পোলিং এজেন্ট নিয়োগের ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।

তিনি বলেন, বিকল্প হিসেবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র (ভোটপ্রদানের গোপন কক্ষ ব্যতীত) সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। এই সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।

এসময় দলটি নির্বাচনকালীন ইসিকে জনপ্রশাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি জানায়। এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, জনগণ প্রত্যাশা করে নির্বাচনকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘সুপার প্রাইম মিনিস্টার’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে জনপ্রশাসনকে নিরপেক্ষ এবং পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে প্রয়োজনীয় অনুশাসন দেবেন।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের গোপন তালিকা থেকে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব নতুনভাবে নিয়োগ করতে হবে। রাজনৈতিক দল এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন জনপ্রশাসনের এই গোপন তালিকা তৈরি করবে। এছাড়াও এই তালিকা থেকে প্রয়োজন অনুসারে বা রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার পরিবর্তন করতে হবে।

এসময় মোমিনুল আমিন ইভিএম ব্যবহারে পেপার অডিট ট্রেইল সংযুক্ত করা ও একাধিক দিনে ভোটগ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি না। তারপরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি ইভিএম ব্যবহার করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল পেপার অডিট ট্রেইল ব্যবহারের পাশাপাশি পেপার অডিট ট্রেইল সংযুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, একজন ভোটারের দেওয়া ভোটটি ইভিএম মেশিনের মেমোরিতে সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে ইসি সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ।

এনডিএমের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবাধ রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা, নির্বাহী বিভাগ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ না দেওয়া, নির্বাচনকালীন গণমাধ্যম বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন, ভোটের আগেই আসনভিত্তিক সীমানা পুনর্নির্ধারণ, জেলাপর্যায়ে শক্তিশালী নির্বাচনী ট্রাইবুনাল গঠন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার বন্ধ করা, বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ টিমকে অনুমতি দেওয়া, নির্বাচনী ব্যয়সীমা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা ও প্রচারকালীন প্রতিটি বিভাগে মত বিনিময়সভা আয়োজন করা।

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ