• আজ সকাল ৮:১৫, বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

ন্যায়ের খাতিরে খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া উচিৎ : জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বুধবার, মার্চ ২৩, ২০২২ ১২:১১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বুধবার, মার্চ ২৩, ২০২২ ১২:১১ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া তার মানবিক অধিকার, নৈতিক অধিকার। খালেদা জিয়া তো কাউকে জবাই করেননি। আমি মনে করি ন্যায়ের খাতিরে খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া উচিৎ।

বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আলোক চিত্র উৎসব’ নামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় খালেদা জিয়ার জামিন চাইছেন কিন্তু মির্জা ফখরুল কিছুদিন আগে বলেছিলেন, জাফরুল্লাহ বিএনপির কেউ না। এ ব্যাপারে আপনি কি বলতে চান? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফুরুল্লাহ আরো বলেন, মির্জা ফখরুল কি বলেছেন তাতে তো আমার কিছু করণীয় নাই। তারা যদি হারিকিরি করতে চান, আমি কি বলবো! আমি বলতে চাই, আন্দোলন করে দলীয় সরকারের অবসান ঘটাতে হবে। নির্বাচনে সবাইকে অংশ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের মেরুদন্ড সোজা করে ন্যায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা যদি তা ডেলিভার করতে না পারেন তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ হবে।

চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে ১৯৭৪ সালে ৩ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছিল অনাহারে। অথচ নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের হিসেব মতে তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। কেন? ভুল শাসন, সুশাসনের অভাব, অনাচার, দুর্নীতি। সেজন্য যার খাদ্য প্রয়োজন তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছাতে পারেনি। আজকে আবার দুর্ভিক্ষের মত চলছে। এখন অবশ্য অনাহারে কেউ নেই। এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই এখন কেউ অনাহারে নেই। রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে টিসিবির পণ্য নেওয়া অত্যন্ত অপমানজনক। আমি বারেবারে বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি রেশনিং করেন। কল্যানকর রাষ্ট্র করার জন্য আপনি আলো দিয়েছেন, আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আপনি যে সারা দেশে আলো বিতরণ করলেন, কিন্তু এই আলো যদি কৃষকের বাড়িতে না যায়। তাহলে তো আমাদের ব্যর্থতা। তাই আমার প্রস্তাব প্রত্যক দরিদ্র কৃষককে তিনটা বাতি দেন। তাকে বিনা সুদে ঋণ দেন। আর সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়বে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ৯৬ সালের মতো একদিন আমাদের এখানেও আসেন। আমাদের ছাত্রের সাথে কথা বলেন। জনগণের সাথে কথা বলেন। আপনাকে দেখতে চাই। আপনাকে ভালোবাসতে চাই। আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনার অনেক ভালো কাজ আছে, আপনি সাহস করে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। আপনি জয়ী হবেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন গবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, বিশিষ্ট অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিইও ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা পুরস্কারে ভূষিত প্রথম বাংলাদেশি নারী ডা. হালিদা হানুম আক্তার, আলোকচিত্রশিল্পী হাসান সাইফুদ্দীন চন্দন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে উপস্থাপিত প্রথম বাংলাদেশি আলোকচিত্রশিল্পী কে এম আসাদ।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ