পদ্মা পাড়ে সমাবেশ: দেশবাসীকে যে বার্তা দিবে আ.লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, জুন ৬, ২০২২ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, জুন ৬, ২০২২ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বড় ধরনের জনসভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পদ্মা নদীর উপর দেশের দীর্ঘতম সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সকালে সেতু উদ্বোধনের পরপরই মাওয়ার ওপারে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভা হবে। ১০ লাখ লোকের সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরেকটি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নেতারা বলেছেন, বিশ্ব মোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছে। নানামুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মাসেতু এখন আর স্বপ্ন নয়,বাস্তব। আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মাসেতু। জনসভা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ কি বার্তা দিবে সে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ব্রেকিংনিউজকে বলেন, বিএনপি-জামাত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে না পারে। উন্নয় অগ্রগতি সমৃদ্ধিকে যাতে ব্যহত করতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আজকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সততা, দেশপ্রেম, সাহসিকতা নিয়ে তা যেনো অটুট থাকে। তার চলার পথকে যারা কণ্টকাকীর্ণ করতে তাদের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে৷ সমাবেশ থেকে দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান থাকবে।
২০১৪ সালের শেষ দিকে মূল সেতু ও নদীশাসনের কাজ শুরু হয়। এর আগে সংযোগ সড়ক, টোলপ্লাজা নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের দিকে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে সারা দেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে পদ্মা সেতু। এ সেতুর মাধ্যমে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
