‘পদ্মা সেতু করায় স্বর্গে যাবেন শেখ হাসিনা’
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, জুন ৫, ২০২২ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, জুন ৫, ২০২২ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

শুধুমাত্র পদ্মা সেতু করার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বর্গে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, যদি মাত্র একটা কাজের জন্যও স্বর্গ দেওয়া হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বর্গ দেওয়া হবে সাহসিকতার সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায়। এ ছাড়া যে পরিমাণ আন্তরিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ করেছেন তাতে তার নামে এ সেতুর নাম দেওয়া হোক।
রবিবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়ন প্রয়োজন জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ফেইথ ইন একশন’ এবং নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ সেমিনারটি আয়োজন করে।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্ৰ ভদ্রের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য এবং পরিবেশ উন্নয়ন কর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
সেমিনারে মূল বক্তব্যে বলা হয়, ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ভঙ্গুর অবকাঠামো, দারিদ্রতা, দীর্ঘমেয়াদী লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষি, প্রভৃতির কারণে উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওই এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এ জন্য আগামী অর্থ বছরের বাজেটে বিশেষ বরাদ্ধ দিতে হবে।
সেমিনারে উত্থাপিত সুপারিশে আরো বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে উপকূলে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মাণ করতে হবে। জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টারসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। উপকূলীয় মানুষের সুপেয় পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে উপকূলে ‘একটি বাড়ি একটি সেল্টার নির্মাণ করতে হবে। নদীভাঙ্গন ও ভূমিক্ষয় ঠেকাতে উপকূলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। সুন্দরবনসহ আশপাশের এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। উপকুলের রক্ষাকবচ বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
