পর্যটন শিল্পে রাজস্ব ফি পুননির্ধারণের দাবি ট্যুর অপারেটরদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৭:২৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৭:২৩ অপরাহ্ণ
সাহানা আক্তার,সোনাডাঙ্গা,খুলনা প্রতিনিধিঃ
পর্যটন মৌসুমের মাঝপথে আকষ্মিকভাবে অসংগতিপূর্ণ রাজস্ব ফি বৃদ্ধি ও কার্যকরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অফ সুন্দরবনের নেতৃবৃন্দ। রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি এম নাজমুল আযম ডেভিড।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। আর এর সাথে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। ট্যুর অপারেটরগণ এই পেশার অন্যতম ষ্টেকহোল্ডার। বড় ধরণের বিনিয়োগ করেছেন তারা। অতিমারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গত দু’বছর অপারেটরগণ ব্যবসায়িকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যা এখনও তারা পুষিয়ে উঠতে পারেনি। পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পর জ্বালানি তেল ও বাজার দর উর্ধ্বমূখী হওয়ায় আবারও তা ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এ বছরের শুরুতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে পর্যটকরা অগ্রীম বুকিং বাতিল করে। নতুন করে পর্যটন শিল্প আবারও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বনের রাজস্বসহ সব কিছুর সাথে সংগতি রেখে ট্যুর প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করে থাকে অপারেটরগণরা। ফলে এই প্যাকেজের মূল্য পরবর্তীতে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না।
বন বিভাগ হঠাৎ করে পর্যটন মৌসুমের মাঝপথে এসে চলতি মাসের ২০ তারিখে বিভিন্ন খাতে রাজস্ব বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে। ওই দিন থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে। যা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ বা কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এতে নতুন নতুন খাতেরও সংযোজন করা হয়েছে। যা পর্যটন শিল্পের বিকাশকে ব্যাহত করবে।
বিগত দিনে বন বিভাগ রাজস্বের হার বৃদ্ধি ও তা বাস্তবায়নের আগে ট্যুর অপারেটরদের সাথে মতবিনিময় করেছে। তবে তা করা হলো না কেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। বর্ধিত হারে রাজস্ব পরিশোধ করতে যেয়ে প্রতিটি ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। তাদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্যটন খাতের রাজস্ব পূর্ণ নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের আহবান করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো: মঈনুল ইসলাম জমাদ্দারসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।