পেঁয়াজসহ সবকিছুতেই অগ্নিমূল্যের ফলে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০২২ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০২২ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণেই দেশে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ সবকিছুতেই অগ্নিমূল্যের ফলে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই। এসব অনিয়মের সাথে সরকার সংশ্লিষ্টরা জড়িত থাকার কারণেই সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। চরম অব্যবস্থাপনার ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিনাভোটের অনির্বাচিত সরকারের কাছে দেশের মানুষের জন্য কোনো দায়বদ্ধতা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচিত জনগণের সরকারের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত চাল, ডাল, তেল পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইত্তেফাক মোড়ে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহ-সেক্রেটারি মুহা: দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান ও শামছুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামাল হোসাইন, আব্দুস সালাম, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখসহ বিভিন্ন থানা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারিবৃন্দ।
মিছিল-উত্তর সমাবেশে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরো বলেন, সরকার বাংলাদেশের গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি করোনা সংকট-পরবর্তী সময়ে মানুষ যখন আর্থিকভাবে বিপদগ্রস্ত অন্যদিকে তখনই দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। এমতাবস্থায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চিত করার পরিবর্তে বিরোধী দল-মতের ব্যক্তিদের দমন-পীড়ন করতে ব্যস্ত রয়েছে। সরকারি দলের লোকজন ও তাদের মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের কারসাজিতেই নিত্যপণ্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই সুদ, ঘুষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এই সরকার মানুষের ন্যায্য কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। কারণ তারা বিনাভোটের অনির্বাচিত সরকার। তাদের কাছে দেশের মানুষের জন্য কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেবল তখনই মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করার নিশ্চয়তা পাবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকারের সকল জুলুম-অত্যাচার সত্ত্বেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে, আগামীতেও করবে ইনশাআল্লাহ। যারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের পরিবর্তে নতুন করে আরো সমস্যা চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি সরকারের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এদেশের মানুষকে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি