প্রার্থিতা বাতিল আবদুল আহাদ খান জামাল সবর করলেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১৯, ২০২২ ৭:৪১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১৯, ২০২২ ৭:৪১ অপরাহ্ণ
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
সিলেটের বিএনপি নেতা আবদুল আহাদ খান জামাল সবর করলেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। গতকাল তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা কয়েক দিন আগেই জানিয়েছিলেন অঙ্গ সংগঠনের পদধারী কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। এ কারণে সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল জেলা বিএনপি গঠিত নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন খান জামালকে। আগামীকাল সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিল। সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় জমে ঊঠেছে এ নির্বাচন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীও লড়াইয়ে নেমেছেন। নির্বাচনে খান জামাল সাধারণ সম্পাদক পদে শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন। এ পদে লড়াই করছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান, কামরুল হাসান শাহীন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জামাল। তিনি জানান, কিছুক্ষণ আগে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আমাকে টেলিফোনে জানালেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে জমা দেয়া আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ না করায় আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পরে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে জানাবেন।
এই সিদ্ধান্তে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। সিদ্ধান্তটি আমার প্রতি অবিচারের শামিল। তারপরও দলের বৃহত্তর স্বার্থে এক বুক কষ্ট চাপা দিয়ে সিদ্ধান্তটি মাথা পেতে মেনে নিলাম। আমি চাইলে আপিল করতে পারতাম, আইনের আশ্রয় নিতে পারতাম, কিন্তু আমি দলের স্বার্থে তা করবো না। আমি বিশ্বাস করি আদর্শিক কর্মীর কাছে দলীয় পদ-পদবি মুখ্য নয়, দলের সামগ্রিক স্বার্থটাই মুখ্য। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কূটকৌশল করে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসাবে আমার মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচনের মাঠ থেকে আমাকে সরিয়ে দিয়েছেন এটা সত্য, তবে নৈতিকভাবে ভোটের আগেই তারা আমার কাছে পরাস্ত হয়েছেন। আপনাদের ভালোবাসার ভোটে আমি ইতিমধ্যে বিজয়ী হয়েছি- এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বাকি জীবন যেন আপনাদের ভালোবাসার মাঝে থাকতে পারি এই দোয়া চাই।