ফেসবুকে প্রেম, এবার মহেশখালীতে থাই তরুণীর বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েক বছর আগে কক্সবাজারের মহেশখালীর ওসমান গণি রাজ’র (২৫) সঙ্গে পরিচয় হয় থাইল্যান্ডের তরুণী তানিদার (৩৫)। মেসেঞ্জারে কথা হতো দু’জনের। এভাবে বছর পার হতেই তাদের পরিচয় গড়ায় প্রেমে। এ সূত্রে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে মহেশখালী রাজের বাড়ি আসে তরুণী তানিদা। পক্ষকাল অবস্থানের পর আবার ফিরে যায় দেশে। গত এপ্রিলে আবারও আসেন মহেশখালী। বাড়ে প্রেমের ঘনত্ব। সেই প্রেমের সফল ইতি টানতে গত ৭ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে আবারও বাংলাদেশে এসে ধর্ম ত্যাগ করে ওসমান গণি রাজকে বিয়ে করলেন তানিদা ওরফে খাদিজাতুল কোবরা।
বর ওসমান গণি মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। ১২ ডিসেম্বর ওই বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতেই আছেন খাদিজা ওরফে তানিদা। ঘটনা প্রচার পাবার পর প্রতিদিনই থাই তরুণী বধূকে দেখতে দেখতে গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওসমান গণি চতুর্থ। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুরগির ফার্মে চাকরি নেন ওসমান। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। চাকরি নেন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওই চাকরি চলে গেলে ৯ মাস ধরে বেকার ওসমান।
থাই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে সম্পর্কে ওসমান গণি বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে মহেশখালী তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে তার (ওসমানের) বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসেন তানিদা। সে যাত্রায় সাত দিন থাকেন। সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন এবং ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তার নাম রাখা হয় খাদিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় আমাদের।
তানিদা থাইল্যান্ডে চাকরি করেন উল্লেখ করে ওসমান বলেন, এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন খাদিজা। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।
থাইল্যান্ড ফিরে গিয়ে স্বামীর জন্য ভিসার আবেদন করবেন জানিয়ে ওসমান আরও বলেন, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন ওসমান। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, খবরটি জেনে আমরাও দেখতে গিয়েছি। ওসমানের বাবা জাবেরের বরাতে তিনি বলেন, বিদেশি বউমা স্থানীয় ভাষা বোঝে না। ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছেন। তবে, বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছেন এ বিদেশিনী।