বগুড়া সদর বিএনপি উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্টিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ৪:৪০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ৪:৪০ অপরাহ্ণ
সভাপতি আফ্তুন আহমেদ খান রুবেল* সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সৈয়দ জহরুল ইসলাম * সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ্ নয়ন ও আতিকুর রহমান আতিক।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েস্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের আর বেশিদিন সময় নেই। সত্যের জয় হবেই। ভয়ের কোন কারণ নেই। বিএনপির দায়িত্ব দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধ করেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেখাতে আমরা জিয়ার সৈনিক। দুঃশাসন, দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে এবং জনগনকে রক্ষা করতে হলে বিএনপির আন্দোলনে সবাইকে অংশ এগিয়ে আসার আবহান জানায়।
আজ শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে তিনি বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বগুড়া সদর উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে গেছে অতিষ্ট, গৃহযুদ্ধ আসন্ন। মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেককে জেলে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমাদেরও জেলে দেবেন, সাজা দেবেন। তারপরও সরকারের শেষ রক্ষা হবে না এটা গ্যারান্টি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকারি দলের লোকদের বলব, ভালো হয়ে যান। ভোটাধিকার ফেরত দিন। দেশে যদি এত উন্নয়ন করেন তাহলে জনগণের কাছে যেয়ে ভোট চাইতে ভয় পান কেন। কারণ, উন্নয়নের নামে জনগণের পকেট কেটেছেন। উন্নয়নের নামে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করেছেন। তাই জনগণের মন আজ বিক্ষুব্ধ, উত্তপ্ত। যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটবে। এই বিস্ফোরণ ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা এই সরকারের নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে বেলা থাকতে ঘরে যান, সময় থাকতে আত্মসমর্পণ করুন। দেশে যদি থাকতে চান তাহলে দেশবাসীর কাছে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। সোজা কথায় ক্ষমতা ছেড়ে দিন, গণতন্ত্রের পথে আসুন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মরার জন্য প্রস্তুতদের কেউ মারতে পারে না। চলমান আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মাঝপথে ছেড়ে যাব না, বিজয় নিশান উড়াব।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান আ.লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায়, তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে অতীতে কোনো সরকার টিকতে পারে নাই, আওয়ামী লীগ সরকারও টিকতে পারবে না। তাই নতুন নেতৃত্ব আগামীদিনের আন্দলোন বেগবান করবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আর একবার যুদ্ধ করতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বেভৌমত্বে প্রতীক। বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, আপসহীন ভূমিকার জন্য দেশের মানুষ তার মুক্তি চায়। দেশ ও দেশের মানুষকে এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই আগামীতে গণতন্ত্র ফিরবে।
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে উপজেলার ১১টির মধ্যে ১০ ইউনিয়নের ৭১০জন কাউন্সিলর সহ নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির চট্রগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হাসান জীবন, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন, ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসেস শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, রাজশাহী বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বগুড়া সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোঃ সিরাজ, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল ও মোশারফ হোসেন এমপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, আলী আজগর তালুকদার হেনা, লাভলী রহমান, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম আর ইসলাম স্বাধীন, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক নাজমা আকতার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুল, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, বিএনপি নেতা সৈয়দ মাহিদুল ইসলাম গফুর, জহুরুল আলম, শামীম রেজা শামীম প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ ৪টি পদে গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করেন কাউন্সিলররা। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পুনরায় আফ্তুন আহমেদ খান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সৈয়দ জহরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সালেহ্ নয়ন ও আতিকুর রহমান আতিক।