বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র করেছিল: শিল্পমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ২৫, ২০২২ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ২৫, ২০২২ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শুক্রবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭১ এর গণহত্যা ও পাকিস্তানের বর্বরতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সেসময় তারা হত্যা করতে পারে নাই। কারন ইন্টারন্যাশনাল যে মুভ ছিলো তাতে তাদের স্বীকার করতে হয়েছে যে বঙ্গবন্ধুর সেখানে আছে। তারা যেহেতু বলেছে সেখানে আছে তখন তাদের উলটো দ্বায়িত্ব হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুকে বাঁচানো। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর এদেশে থাকলে তাকে মেরে ফেলতো। কিন্তু যেহেতু তিনি তাদের কাছে আছে সবাই জানে, সারা বিশ্ব জানে তিনি পাকিস্তান কারাগারে আছেন। তার জন্য আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় তিনি বেঁচে।’
তিনি বলেন, দেশীয়, আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিকভাবে উনার উপর যে দূরদর্শিতা তা তিনি (শেখ মুজিবর রহমান) প্রমাণ করেছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করে দিলেন। তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বাঙালি জাতিকে আবারো শেষ নির্দেশনা দিলেন, আমি যদি নির্দেশনা দিতে নাও পারি তবে তোমরা ঘরে ঘরে প্রস্তুত হয়ে যাও। এটা থেকেও পাকিস্তানের কিছু বের করতে পারেনি। তারা ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে গিয়েছে।’
২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে উন্নতি হচ্ছে, এর জন্য সারা বিশ্বে আমরা আলোচিত। তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বিবৃত ইতিহাস যেগুলো আছে পাক হানাদার বাহিনীর বলে, যেটা বলা হয়ে গোলমালের বছর। এগুলো তারা বাইপাস করে গেছে। এটা বলতে হবে এবং এজন্য অবশ্যই পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জন্য। এর জন্য কোন রাখঢাক নাই।’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস আজকে যদি তুলে ধরা যায় আমার মনে হয় না এই জাতি আবার বিভ্রান্ত হবে। এবং এই দ্বায়িত্ব আমাদেরই।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংসদ আরমা দত্ত, বীরপ্রতীক লে. কর্ণেল সাজ্জাদ আলী জহির (অব.), কর্ণেল তৌফিকুর রহমান (অব.), শহীদ সন্তান নট কিশোর আদিত্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায়।