বঙ্গবন্ধু ইতিহাসে এক অনন্য অসাধারণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মার্চ ১৬, ২০২২ ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মার্চ ১৬, ২০২২ ৩:২৮ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসে এক অনন্য অসাধারণ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা শুধু একটি পরিবারকে হত্যা নয়, একটা জাতি ও রাষ্ট্রকে হত্যা করা।
বুধবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’ আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা.দীপু মনি বলেন, একটা প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের কাঠামোতে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের পরে একটা যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পূর্ণগঠন করে গড়ে তোলেছিলেন তিনি। যুদ্ধবিধস্ত দেশ, রাস্তাঘাট নেই, হাসপাতালে নেই, খাদ্য নেই, এরমধ্যে এককোটি শরনার্থীদের দেশে ফিরে এনে তাদের পূর্ণবাসন করা থেকে শুরু সবই করেছিলন তিনি। এছাড়া দেশের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তিন কোটি মানুষ, তাদেরকে নতুন করে বাঁচার জন্য অবলম্বন করেছিলেন। এরমধ্যে আবার সারাবিশ্বের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরী করা এবং স্বাধীন দেশে নতুন নতুন শত্রুদের মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মত একটা জনবহুল দেশে এবং দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে প্রচণ্ড বৈরিতা, তার সঙ্গে ছিল বাঙালির বিভিন্ন ধরনের ধৃষ্টতা। সমস্ত রকমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু দেশও জাতি গঠনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তখননি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে দেশের মধ্যে বিরাট একটা জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছিল। দীর্ঘদিন পরে সেই জঞ্জাল নিরসনে করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন শেখ হাসিনা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। এজন্য শেখ হাসিনাকে বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং এখনো মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুর (দামায় রাখতে পারবা না) সেই কথাই বাস্তবতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা ছুটে চলেছেন, নিরলস কাজ করেছেন। কেউ দামায় রাখতে পারবে না।
১৯৭৩ সালে নীলফামারীতে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এক ভাষণের কথা তুলে ধরেন বলেন দীপু মনি আরো বলেন, ‘মানুষ চায় কী জীবনে, কেউ চায় অর্থ, কেউ চায় শক্তি, কেউ চায় মানুষের ভালোবাসা। আমি চাই মানুষের ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুর এই ভালোবাসাই বাঙালিকে ব্রুব তারার মত পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি এখন আর বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বের নির্যাতিত মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর এই ভালোবাসার কারণেই জীবিতর চেয়ে অধিক জীবিত পিতা মুজিব।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’ সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।
এসময় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, বাংলা ইনসাইডার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, জাগোনিউজ ২৪.কম এর ডেপুটি এডিটর ড.হারুন রশীদসহ অনেকেই।