“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ: উপদেষ্টা হওয়ার শর্তাবলী নিয়ে বিতর্ক”
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০২৪ ৭:৩৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, নভেম্বর ১১, ২০২৪ ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন নিষিদ্ধ করে নতুন অধ্যাদেশের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া।
জানা গেছে, খসড়াটি এখন গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে অধ্যাদেশটি ঠিক কত দিনের মধ্যে জারি হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
“প্রয়োজনীয় সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে। যতদূর জানি, এটি খুব শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে,” বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাদেশটি নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না এলেও, সিনিয়র আইনজীবীদের মতে, এটি মূলত সরকারের ‘আইনি বৈধতা’ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন নিষিদ্ধ। অধ্যাদেশে উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য কিছু শর্তও নির্ধারণ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়ায় প্রশ্ন না করার বিধানকে অনেকেই ‘দায়মুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করছেন।
কিন্তু ঠিক কী রয়েছে খসড়া অধ্যাদেশে? তিন মাস রাষ্ট্র পরিচালনার পর সরকার এখন কেন অধ্যাদেশ জারির প্রয়োজন অনুভব করছে?
এর আগে বাংলাদেশে যেসব ‘দায়মুক্তি‘ অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল, সেগুলোও আলোচিত হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন নিষিদ্ধ
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ: উপদেষ্টা হওয়ার শর্তাবলী নিয়ে বিতর্ক” বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। এটি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ খসড়া অনুমোদনের পর, উপদেষ্টা নিয়োগের শর্তাবলী নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্ক চলছেই।
এছাড়া, কিছু বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রমের প্রতি জনগণের মতামত প্রকাশের সুযোগ কমে যেতে পারে।
তাদের মতে, এই ধরনের আইন পাস হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা বাড়তে পারে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
Image Source: https://www.bbc.com