বাজেট নিয়ে সমালোচনায় রুমিন ফারহানা, যা বললেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, জুন ১২, ২০২২ ৯:২৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, জুন ১২, ২০২২ ৯:২৮ অপরাহ্ণ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘গালভরা নাম দেওয়া বাজেটটি আওয়ামী লীগের বাইরে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার কতটা সংস্থান করেছে, সেটা টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনের দৈর্ঘ্য দেখলেই বোঝা যায়।’
রোববার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সমালোচনা করেন।
রুমিন বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রণীত হলেও বছর শেষে ১০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়।করোনাকালে দেওয়া এই বাজেটের শিরোনাম ছিল ‘জীবন-জীবিকার প্রাধান্য ও আগামীর বাংলাদেশ’।
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে বিএনপিদলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘গত কয়েক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম যতটা বেড়েছে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু বড় ব্যবসায়ী এবং তেলের মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ ক্রেতাদের দিতে হয়েছে অনেক বেশি মূল্য।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বেশ কিছুদিন আগে হিসাব দিয়ে জানিয়েছিল মাত্র ১৫ দিনে বাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন মিল মালিক এবং কিছু বড় তেল ব্যবসায়ী।এই টাকার ভাগ কত দূর গেছে- তা নিয়ে প্রশ্ন রেখে গেলাম।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘খাবারের কষ্ট এমন জিনিস যা ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ এমনকি ক্যানসারের রোগীকেও বাধ্য করেছে টিসিবির লাইনে দাঁড়াতে। প্রথম শ্রেণিতে পড়া ছোট্ট একটা মেয়ে দাঁড়িয়েছিল টিসিবির ট্রাকের পেছনে, কিন্তু ছবিতে দেখেছিলাম, শিশুটির হাত পৌঁছায়নি ট্রাকের পণ্য পর্যন্ত।’
আগামী বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২৭টি মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা বলা হলেও চলতি অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে মাত্র ৫৮ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বরাদ্দের মাত্র ৪১ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।’
‘যে মন্ত্রণালয় করোনার মতো এত জরুরি অবস্থায় তার বরাদ্দ অর্থ খরচে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেই মন্ত্রণালয়কে ন্যূনতম জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি।’