• আজ রাত ৩:০৭, শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

বিএনপি’র গণতন্ত্রের নমুনা হলো- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, মার্চ ২০, ২০২২ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, মার্চ ২০, ২০২২ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পটভূমিতে বিএনপি’র জন্ম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে পবিত্র সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। একইসঙ্গে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতার খুনিদের সুরক্ষা দেয়। পরিকল্পিতভাবে এ দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতির জন্ম দেয় বিএনপি।

রবিবার (২০ মার্চ) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি’র গণতন্ত্রের নমুনা হলো- অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার প্রস্তুত ও কারচুপির নির্বাচন, বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে নারকীয় গ্রেনেড হামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মতো ন্যাক্কারজনক পন্থা অবলম্বন। এ দেশের সাংবিধানিক রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের মানচিত্রে দগদগে ক্ষত সৃষ্টিকারী দানবীয় অপশক্তির আরেক নাম বিএনপি।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র নাকি একসাথে যায় না’। মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের মানুষের স্বাধিকার, স্বাধীনতা, মুক্তি, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র একমাত্র আওয়ামী লীগের হাতেই নিরাপদ। গণতন্ত্রের বিকাশ ও অগ্রযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র আর গণতন্ত্রের আড়ালে মুখোশধারী স্বৈরাচারদের হাত থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে পুনরুদ্ধার করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের যে কোন রাজনৈতিক দলের চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচন বিমুখ একটি দল কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? গণতান্ত্রিক চর্চায় সর্বদাই বিএনপির এক ধরনের অনীহা রয়েছে। এমনকী জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও মহান জাতীয় সংসদে যাওয়া নিয়ে বিএনপি দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। একদিকে তাদের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে অংশগ্রহণ করেনি, অন্যদিকে সংসদে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এ ধরনের দ্বিধাগ্রস্ত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের কল্যাণ করার সক্ষমতা রাখে না। এটা প্রমাণিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় এ দেশের মানুষের ভাগ্যের যত উন্নয়ন ঘটছে, বাংলাদেশ যত উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রসর হচ্ছে, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ততই হতশাগ্রস্ত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রলাপ বকছে। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নয়নের নতুন নতুন মাত্রা আমাদের আর্থ-সামাজিক জীবনের যে পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তার ভিত্তিতে নতুন প্রজন্মের যে মানসিকতা ও স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তা ধারণ করার মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সক্ষমতা বিএনপি’র নেই।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে নয় বরং তার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এ দেশের গণমাধ্যমের বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক সকল প্রয়াস আওয়ামী লীগই গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে বলেই জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি’র রাজনীতি শুধুমাত্র মিডিয়াতে লিপ সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে টিকে আছে। বলা চলে, গণমাধ্যমই বিএনপি’র অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে নিলর্জ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তাদের ডজন খানেক নেতা টেলিভিশনে মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে অবাধ বাক-স্বাধীনতা ভোগ করছে। তারপরও তাদের নাকী বাক-স্বাধীনতা নেই! গণমাধ্যমের নাকী স্বাধীনতা নেই! এ থেকেই প্রতিয়মান হয় যে, বিএনপি’র কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে হলো- ভিত্তিহীন ও দূরভিসন্ধিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সহায়ক ভূমিকা পালন।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!