বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ীকমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত সমূহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৭, ২০২২ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৭, ২০২২ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গত ১৪ মার্চ ২০২২ তারিখ, মঙ্গলবার, রাত ৮.০০ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য যথাক্রমে—
১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
২. ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার
৩. মির্জা আব্বাস
৪. বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
৫. ড. আব্দুল মঈন খান
৬. জনাব নজরুল ইসলাম খান
৭. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৮. আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী
৯. বেগম সেলিমা রহমান
১০. জনাব ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
সভায় আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিন্মে বর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায় বিগত ৩ মার্চ ২০২২ অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচী মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন হাট সভা পর্যায়ে পালিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং আসন্ন রমজান মাসের পূর্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচী অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে মহাসচিব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩। সভায়, ১৯৭১ সালে ২৭শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কতৃক কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য জাতির প্রতি আহ্বানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য চট্টগ্রামে কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপনের জাতীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
৪। সভায়, বর্তমান অবৈধ সরকারের অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামালের ভূয়া তথ্য প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভূক্তির আবেদন বাতিল হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক ও কলংকময় বলে অভিহিত করা হয়। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসাবে ভূয়া তথ্য প্রদান করাকে অপরাধ মূলক কাজ বলে মনে করা হয়। এই ধরনের দায়িত্বশীল পদে থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেট অর্ন্তভূক্তি প্রচেষ্টার দায়ে সভা তার পদত্যাগ দাবী করে।
সভায়, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়েনর ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের দূর্নীতি ও ব্যর্থতার জন্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ভিন্নমত পোষণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে দলীয় ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভূক্তি করনের প্রচেষ্টাকে তীব্র ভাবে নিন্দা করা হয় এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বাতিল করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভূক্ত করার দাবী জানানো হয়।
৫। সভায়, গত ৫ মার্চ কুষ্টিয়া জেলায় ভারতীয় সীমান্তে বিএসফের গুলিতে একজন বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। এই ধরনের মানবাধিকার লংঘনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভা মনে করে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনেই সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ হচ্ছে না। সভায় সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বন্ধের জন্য ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।
৬। সভায় আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচী যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৭। সভা শেষে সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।