বিএনপির ষড়যন্ত্রে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে: বাহাউদ্দিন নাছিম
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০২২ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০২২ ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
দেশে নিত্যপ্রয়োজসীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বিএনপি জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কুচক্রী মহলের নির্দেশনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বর্তমান সময়ে বিএনপির ষড়যন্ত্রে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে এই কুচক্রী মহল। এই কুচক্রী মহলকে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। কারণ এটি এমন এক ভাষণ যার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তির সূচনা করেছিলেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক-দালালরা আমাদের এই দেশকে নব্য পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আজ অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক মুক্তির চরম শিখরে পৌঁছে গেছি।
‘তার এই সফলতাকে নষ্ট করার জন্য এখনো একদল কুচক্রী ষড়যন্ত্রের জাল পেতে আছে। তাদের প্রতিহত করার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগকেই নিতে হবে।’
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। এ ভাষণটি কী অপূর্ব কী অকল্পনীয়! তা আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই। ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে যেন কেউ বিছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে অভিহিত করতে না পারে সেদিকে তার সজাগ দৃষ্টি ছিল।
তিনি ছাত্রসমাজের উদ্দেশে বলেন, একটি কুচক্রীমহল দেশকে যেভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে তোমাদের। তাদের সব ষড়যন্ত্রে রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।
এছাড়া অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।