বিয়ানীবাজারে স্বতন্ত্র ফারুকুল, গোলাপগঞ্জে নৌকার এলিমের জয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জুন ১৬, ২০২২ ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জুন ১৬, ২০২২ ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
বিয়ানীবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুল ইসলাম চমক দেখিয়েছেন। বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস শুকুরকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তবে বৃষ্টিমুখোর দিনে নির্বাচনে সিলেটে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। বিয়ানীবাজার পৌরসভায় ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। তবে ইভিএম’র ভোটে বরাবরের মতো ভোট গ্রহণে ধীরগতি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। দিনভর ইভিএম নিয়ে ক্ষোভ ছিল প্রার্থী-ভোটারদের মধ্যে। এ পৌরসভায় বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৩ হাজার ৫৫৬ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুস শুকুর। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৪৮ ভোট।
এ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে হাফিজ এমাদ আহমদ, ২নং ওয়ার্ডে ছায়ফুল আলম ঝুনু, ৩নং ওয়ার্ডে আকবর হোসেন লাভলু, ৪নং ওয়ার্ডে আবুল কাশেম, ৫নং ওয়ার্ডে সায়ফুল ইসলাম সায়েখ, ৬নং ওয়ার্ডে এহসানুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডে মিছবাহ উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডে এনাম হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ডে আব্দুর রহমান আফজল নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ইভিএমে ভোট চলছে খুবই ধীরগতিতে। এর প্রধান সমস্যা ফিঙ্গারপ্রিন্ট জটিলতা।
বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররাও অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। অনেক কেন্দ্রে ফিঙ্গার মেলেনি বয়স্ক নারী ও পুরুষের। অনেকেই আবার ভ্যাসলিন দিয়ে হাতের আঙ্গুল পরিষ্কার করেছেন। এরপরও ভোট দিতে পারেননি। কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও একই তথ্য পাওয়া যায়। তাদের একজন সরওয়ার হোসেন বলেন, অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। ভোটকক্ষে পৌঁছে আর ভোটটি দিতে পারলাম না। ফিঙ্গার মেলেনি। বলছে পরে আসার জন্য। কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ফিঙ্গারের সমস্যায় ভোট দিতে পারেননি অনেকেই। সবারই অভিযোগ হাতের ছাপ উঠে না যন্ত্রে। এদিকে মেঘলা আবহাওয়া ও হালকা বৃষ্টির মধ্য দিয়ে শুরু হয় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন। দিনভর চলে বৃষ্টির দাপট। এ কারণে কেন্দ্রমুখী হননি অধিকাংশ ভোটার। উপ-নির্বাচন হওয়ার কারণে ভোটাররাও আগ্রহ দেখাননি। সকালের দিকে কিছুসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি থাকলেও দুপুরে কেন্দ্রগুলো প্রায় পুরোটাই ফাঁকা ছিল। মাঝেমধ্যে দু’চারজন ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তারা নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে চলে যান। এ নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ভাই মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সফিক উদ্দিন।